Home Blog Page 920

এই সরকার জনগণের নয়, তারা চীন, ভারত ও রাশিয়ার সরকার : গয়েশ্বর

0

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, এই সরকার জনগণের সরকার নয়, আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের জনগণের সরকার নয়। তারা চীন, ভারত ও রাশিয়ার সরকার। সুতরাং এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করতেই হবে। এই সরকারকে আমরা মানতে বাধ্য নই। এটা আমাদের ভোটের লড়াই, গণতন্ত্রের লড়াই এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াই। সুতরাং প্রতিরোধের আগেই মানে মানে কেটে পড়ুন।

তিনি বলেন, ৭ই জানুয়ারি মানুষ ভোটকেন্দ্রে যায় নাই। ৭ শতাংশের বেশি মানুষ ভোট দেয়নি। শেখ হাসিনা দেশের ৭ ভাগ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছেন। আর তারেক রহমান ৯৩ শতাংশ মানুষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

গয়েশ্বর রায় বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাতে চাই।

আজ (২৭ জানুয়ারি) বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কালো পতাকা মিছিল শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বাতিল, গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ এক দফা দাবিতে এই কালো পতাকা মিছিলের আয়োজন করে বিএনপি। গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর এটাই বিএনপির বড় কর্মসূচি। এসময় নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন গয়েশ্বর রায়। তিনি বলেন, অবৈধ ডামি সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদের নির্বাচনের দাবিতে আগামী ৩০ জানুয়ারি দেশের সকল মহানগর, থানা, জেলা, সদর, সকল উপজেলায় এবং সকল পৌরসভায় বিএনপির উদ্যোগে কালো পতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।

বক্তব্য শেষে কালো পতাকা মিছিলের উদ্বোধন করেন গয়েশ্বর রায়। মিছিলটি নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে ফকিরাপুল, আরামবাগ মোড় ঘুরে নয়াপল্টনে এসে শেষ হয়।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদের সঞ্চালনায় মিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য দেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী প্রমুখ।

মিছিলে বিএনপির কেন্দ্রীয়, মহানগর ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কবির রিজভী, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, শিরিন সুলতানা, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, তাইফুল ইসলাম টিপু, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, কাদের গণি চৌধুরী, রফিক শিকদার, ঢাকা জেলা বিএনপির খন্দকার আবু আশফাক, নিপুন রায় চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, নাজমুল হাসান, মৎস্যজীবী দলের মো. আবদুর রহিম, ওলামা দলের শাহ মো. নেছারুল হক, কাজী মো. সেলিম রেজা, ছাত্রদলের আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, পেশাজীবী নেতাদের মধ্যে প্রকৌশলী মো. মোস্তাফা-ই জামান সেলিম, প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান চুন্নু, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, শ্রমিক দল, তাঁতী দল, মৎস‌্যজীবী দল, জাসাসের হাজারো নেতাকর্মী কালো পতাকা হাতে নিয়ে অংশগ্রহণ করেন।

আন্তর্জাতিক আদালতের রায় না মানার ঘোষণা ইসরাইলের

0

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইল যে বর্বর আগ্রাসন, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ চালাচ্ছে তা প্রতিরোধের বিষয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের রুলিংকে প্রত্যাখ্যান করেছে দখলদার সরকার। যুদ্ধবাজ নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরাইল গণহত্যা চালাচ্ছে বলে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা শুধু মিথ্যা নয় তা আপত্তিকরও বটে।

ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরাইলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগ এনে হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা আদায় করে। গতকাল ওই মামলার বিষয়ে আদালতের ১৫ সদস্যের বিচারক প্যানেল রুলিং দিয়েছে। আদালত ওই রুলিংয়ে বলেছে, গাজায় গণহত্যা প্রতিরোধের জন্য ইসরাইলকে অবশ্যই সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি যে সমস্ত সামরিক কর্মকর্তা গণহত্যামূলক কাজের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এর পাশাপাশি অবিলম্বে গাজা উপত্যকায় আরো বেশি মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর সুযোগ দেয়ার কথা বলেছে।

গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত দখলদার সেনারা ২৬ হাজারের বেশ মানুষকে হত্যা করেছে এবং ৬৫ হাজার ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। এছাড়া, হাজার হাজার মানুষ গাজায় নিখোঁজ রয়েছেন। ধারণা করা হয় যে, এসব মানুষ বিধ্বস্ত ভবনের নিচে চাপা পড়ে মারা গেছেন।

ইসরাইল নির্বিচারে বোমাবর্ষণ করে গাজার প্রায় ৬০ ভাগ ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস করেছে এবং নিহত লোকজনের ভেতরে নারী, শিশু, বৃদ্ধ এবং মারাত্মক অসুস্থ মানুষ রয়েছেন। নিহতদের শতকরা ৭০ ভাগের বেশি নারী ও শিশু বলে বিভিন্ন পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে। এরপরেও ইসরাইলের নেতারা গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করছেন। এইভাবে নির্বিচারে বেসামরিক ও অসহায় মানুষ হত্যার পরেও যদি ইসরাইল যুদ্ধাপরাধের অভিযোগকে মিথ্যা বলে তাহলে প্রশ্ন আসে কত মানুষকে হত্যা করলে গণহত্যা হয়।

পার্সটুডে

সীমান্তে বিজিবি সদস্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জাতিসংঘের অধীনে তদন্ত চায় বিএনপি

0

বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্য সিপাহী মোহাম্মদ রইস উদ্দীনকে বিএসএফ কতৃর্ক ‘নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের’ ঘটনার জাতিসংঘের মাধ্যমে তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই দাবি জানানো হয় উল্লেখ করে শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ভোরে যশোর সীমান্তের ধান্যখোলা বিওপির জেলেপাড়া পোস্ট-সংলগ্ন এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্য সিপাহী মোহাম্মদ রইস উদ্দীনকে গুলি করে হত্যা করে। সারা পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সবচেয়ে সহিংস ও রক্তস্নাত। ভারত কতৃর্ক বারবার প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিকদেরকে হত্যার ঘটনা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিনিয়তই প্রাণহানির সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে গণমাধ্যমে। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাবে ৭ বছরে ২০১ জন বাংলাদেশি নাগরিক বিএসএফ এর গুলিতে নিহত হয়েছে।

স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বলেন, সিপাহী মোহাম্মদ রইস উদ্দীনকে গুলি করে হত্যার পর বিএসএফ এর পক্ষ থেকে যা বলা হয়েছে তা অগ্রহণযোগ্য। বিএসএফ এর পক্ষ থেকে বলা হয় ‘তিনি (নিহত ব্যক্তি) বিজিবির সদস্য তা তারা বুঝতেই পারেনি, তিনি লুঙ্গি ও টিশার্ট পরে ছিলেন এবং পাচারকারী দলের সঙ্গে তাকে ভারতের সীমানার ভিতরে দেখা গিয়েছিল। একজন বিজিবি সদস্য কিভাবে লুঙ্গি আর টিশার্ট পরে পাচারকারী দলের সঙ্গে মিশে থাকতে পারেন সেটি তাদের বোধগম্য নয়। এই বয়ান শুধু বানোয়াটই নয়, ভারতীয় নীতি নির্ধারকদের ‘বিগ ব্রাদার’ সুলভ গরীমা থেকে উৎসাহিত হয়ে বিএসএফ তাদের হত্যাকাণ্ডের পক্ষে সাফাই গাইছে। একজন বিজিবি সদস্য কখনোই লুঙ্গি ও টিশার্ট পরে পাচারকারী দলের সঙ্গে থাকতে পারেন না।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিএসএফ এর মন্তব্যের সঙ্গে ভারতের মানবাধিকার সংগঠন ‘মাসুম’ও দ্বিমত পোষণ করেছে। বিএসএফ এর এহেন আচরণের ইতিহাস যুগপৎ হিংসাশ্রয়ী ও রক্তপাতের মধ্য দিয়ে এগিয়েছে।

বরাবরই বিএসএফ এর কৃত অপরাধকর্ম এবং বয়ানের মধ্যে দুস্তর ব্যবধান থাকে। তাদের আচরণে মনে হয় তারা আদিম ও মধ্যযুগ পেরোতে পারেনি। মোহাম্মদ রইসুদ্দিনকে হত্যা করার পর তাদের মনগড়া বয়ানকে বাংলাদেশের মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছে। এই মর্মস্পর্শী হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশ জুড়েই ক্ষোভ ও বিক্ষোভে আলোড়িত। জ্বলে উঠেছে বাংলাদেশ। ভারতের উচ্চাকাঙ্খী নীতির কারণেই সীমান্তে রক্তপাত থামছে না। বিএসএফ বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকাকে ‘ব্লাড-স্পোর্ট’ বা রক্তক্ষয়ী খেলায় পরিণত করেছে। বাংলাদেশের মানুষকে নতজানু রাখার এটি একটি আধিপত্যবাদী বার্তা।

‘এতদিন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে সাধারণ বাংলাদেশি নিহত হয়েছে। আর এখন সীমান্তে বিজিবিরও নিরাপত্তা নেই। অন্য দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে আরেকটা স্বাধীন দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী হত্যা কোনো সাধারণ ঘটনা নয়, বরং এটির সঙ্গে রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন জড়িত। এটি গভীর উদ্বেগের বিষয় যে, শেখ হাসিনার ক্ষমতা লোভের ফলশ্রুতিতে নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে বাংলাদেশকে আজ তাঁবেদার রাষ্ট্র বানানো হয়েছে। দখলদার আওয়ামী সরকার আজ দেশবিরোধী ঘৃণ্য চক্রান্তের ক্রীড়নক। সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-কেও এখন বেঘোরে প্রাণ দিতে হচ্ছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা আরও বলেন, বিএসএফ এর ‘ডেলিবারেট কিলিং’ এখন সর্বজনবিদিত। নিয়ন্ত্রণহীন এসব হত্যাকাণ্ডের আশকারা দেয়া দিল্লীর উগ্রতা আর ঢাকার নীরবতা। শেখ হাসিনা দিল্লীর সঙ্গে অধীনতামূলক চিরস্থায়ী ‘রাজনৈতিক বন্দোবস্ত’ এর ফলশ্রুতি হচ্ছে বিএসএফ কতৃর্ক সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যার ঘটনায় নিশ্চুপ থাকা। মোহাম্মদ রইসুদ্দিনকে হত্যার ঘটনা পরের দিন পর্যন্ত জানতেই পারেননি বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাবিলাসী বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। নাগরিকদের জীবনের চেয়ে দখলদার আওয়ামী মন্ত্রীদের ক্ষমতা খুব জরুরি। দেশবাসীকে পরাধীন রেখে ক্ষমতা ভোগ করাই আওয়ামী লীগের নীতি ও আদর্শ। স্বভূমির সীমানায় কাউকে শান্তিতে রাখেনি আওয়ামী সরকার। এখন তাদের বন্ধুপ্রতীম দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে দিয়ে বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিক এবং সীমান্তরক্ষীদের প্রাণ সংহার করা হচ্ছে। ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ হলেও তাদের নীতি নির্ধারকদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের গভীরতা অর্জিত হয়নি।

‘সেজন্যই বাংলাদেশ সীমান্তে বেআইনি হত্যাকাণ্ডে তারা কোন দায়বোধ করে না। ফেলানীসহ সকল হত্যাকাণ্ডে আন্তর্জাতিক মহল এমনকি ভারতের বেশকিছু মানবাধিকার সংগঠন প্রতিবাদ-উদ্বেগ-উৎকন্ঠা প্রকাশ করলেও ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এর কোন বিচার বা প্রতিকার করেনি। কাঁটাতারে ঝুলন্ত ফেলানীর হৃদয়বিদারক লাশের দৃশ্য দেখে বাংলাদেশের মানুষের মনে এখনও ক্ষোভের আগুন জ্বলছে। এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছি। পাশাপাশি নিহত ব্যক্তির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’

সমালোচনাকারীদের হেনস্তা বন্ধ করে কারিকুলামের বিতর্কিত অংশ বাতিল করুন : খেলাফত মজলিস

0

বর্তমান বিতর্কিত শিক্ষা কারিকুলামের সমালোচনাকারীদের হেনস্তা করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে খেলাফত মজলিস। গতকাল কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে খেলাফত মজলিস নেতৃবৃন্দ গভীর উদ্বেগের সাথে বলেন, ইসলামী মূল্যবোধ বিসর্জন দেয়া এবং বিজ্ঞান শিক্ষাকে সংকুচিত করা এই শিক্ষাক্রম মূল শিক্ষাকে গণশিক্ষার স্তরে নামিয়ে দিয়েছে। বিজ্ঞান ও ধর্মীয় শিক্ষাকে সংকুচিত করা হয়েছে। ট্রান্সজেন্ডারের মত সমকামিতার পশ্চিমা অপসংস্কৃতি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে স্বাভাবিক করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। কোমলমতি শিশু-কিশোরদের এমন বিষয়াদি শেখানো হচ্ছে যা এদেশের ধর্মীয় সংস্কৃতিক ও মূল্যবোধের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক। পাঠ্যপুস্তকের প্রচ্ছদ থেকে ভিতরের কন্টেন্ট এমনভাবে রচিত হয়েছে যা আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষার স্বকীয়তা নষ্ট করেছে। অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। সামর্থ্যবানদের অনেকে আজ ইংরেজি মাধ্যমে সন্তানদেরকে পাঠিয়ে দিচ্ছে। ডিভাইস নির্ভরতা ও পরীক্ষা না থাকাতে শিক্ষার্থীরা বাসায় পড়াশোনা করে না। মা-বাবার কথা শুনে না। আধুনিকতার নামে নৈতিকতা বিসর্জন দেয়ার এ শিক্ষ্যাব্যবস্থার বিতর্কিত অংশ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।

দেশপ্রেমিক ও সচেতন মানুষ এই বিতর্কিত শিক্ষাক্রমের বিরুদ্ধে আজ কথা বলছে। সম্প্রতি ব্রাক বিশ^বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক ট্রান্সজেন্ডারের বিরুদ্ধে কথা বলায় তাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। শিক্ষা কারিকুলাম নিয়ে সমালোচনা করায় গত নভেম্বরে ঢাকার ৩জন ও টাঙ্গাইলের ১জন শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছিল সরকার। আমরা এসব ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে শিক্ষকদের চাকুরিতে পুনর্বহাল করার জন্য আমরা সরকার ও ব্রাক বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানাই। মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি সম্মান জানানোর আহ্বান জানাই।

গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাপ্তাহিক নির্বাহী বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন। মহাসচিব ড: আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত নির্বাহী বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব ড: মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিজানুর রহমান, প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ডা: রিফাত হোসেন মালিক, যুব বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মুফতি আবদুল হক আমিনী, জিল্লুর রহমান, এডভোকেট শায়খুল ইসলাম, আবুল হোসেন প্রমুখ।

গাজ্জায় গণহত্যা পরিচালিত হচ্ছে না মর্মে আমেরিকার বিবৃতি; প্রতিবাদ জানালো হামাস

0

দখলকৃত ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজ্জায় গণহত্যা পরিচালিত হচ্ছে না মর্মে বিবৃতি দিয়েছে আমেরিকা।

সম্প্রতি এবিষয়ে একটি বিবৃতি দেয় দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বলা হয় যে, গাজ্জায় গণহত্যা পরিচালনা করছে না ইসরাইল। এটি তাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া অপবাদ। এর কোনো ভিত্তি নেই।

আমেরিকার এমন মিথ্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে অঞ্চলটিতে বিশ্ব মানবতার শত্রু ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের গণহত্যার বিপরীতে স্বাধীনতা যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।

দলটির অন্যতম শীর্ষ নেতা ইজ্জাতুর রিশক বলেন, “গাজ্জায় গণহত্যা পরিচালনা করছে না ইসরাইল। এটি তাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া অপবাদ। এর কোনো ভিত্তি নেই।” মর্মে আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে তা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত কর্তৃক সম্ভাব্য ইসরাইল বিরোধী রায়কে প্রভাবিত করার ঘৃণ্য প্রচেষ্টা। এর মাধ্যমে আমেরিকা চায়ছে তাদের পূর্ণ সহায়তায় পরিচালিত হয়ে আসা গাজ্জা গণহত্যা ও ফিলিস্তিনি জাতি নিধনের মতো জঘন্য অপরাধ ও এর সাজা থেকে যেনো ইসরাইল নিষ্কৃতি পায়।

তিনি আরো বলেন, আমেরিকার সরকার এখনো গাজ্জা গণহত্যা বন্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে। জাতিসংঘের সাধারণ নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনি নিধনযজ্ঞ বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তাব পাসে বাঁধা দিয়ে, হাজার হাজার নারী-শিশু হত্যার পরও দখলদারদের ভারী অস্ত্রশস্ত্র ও যাবতীয় যুদ্ধ সরঞ্জাম সরবরাহ অব্যাহত রেখে আমেরিকার সরকার প্রমাণ করছে যে তারা চায় না গাজ্জায় স্থায়ীভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক। যুদ্ধের অবসান ঘটুক। এসবের মাধ্যমে দেশটি অপরাধীদের পক্ষে নিজেদের নির্লজ্জ অবস্থানের কথা জানান দিয়ে যাচ্ছে।

এছাড়া বিশ্ব মানবতার শত্রু ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের মতো আমেরিকাও গাজ্জা গণহত্যা অপরাধের সমান অংশীদার বলে উল্লেখ করেন।

আমেরিকাকে উদ্দেশ্য করে এই হামাস নেতা আরো বলেন, পুরো বিশ্বের সামনে যে অপরাধ দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট এর বিরুদ্ধে যারা নির্লজ্জ অবস্থান নেয়, নীতি-নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও আন্তর্জাতিক আইন সম্পর্কে তাদের কথা বলার কোনো অধিকার নেই।

উল্লেখ্য, আজ শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিশ্ব মানবতার শত্রু ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার করা গণহত্যা মামলার রায় ঘোষণার কথা রয়েছে।

সূত্র: হামাস

ছাত্র জমিয়তের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

0

ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ-এর ৩২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  শুক্রবার (২৬ জানুয়ারী) সকাল ৯টায় পল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় সভাপতি রিদওয়ান মাযহারীর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক কাউসার আহমদ, নাসিম খান ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাআ’দ বিন জাকিরের সঞ্চলানায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর সহ সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক।

প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জমিয়ত মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলান উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেন, ছাত্র জমিয়ত কে সুচিন্তিত পরিকল্পনা গ্রহণ করে সাংগঠনিক কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে হবে। স্রোতের সাথে তাল মিলিয়ে চললে কোন সংগঠনের সাময়িক বিস্তৃতি হলেও তার স্থায়িত্ব বেশিদিন টিকে না। তাই ছাত্র জমিয়তের প্রতিটি দায়িত্বশীল ও কর্মীকে আকাবিরে দেওবন্দের চিন্তা -চেতনা এবং তাদের দর্শন সম্পর্কে অবগতি লাভ করে নিজেদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঠিক করতে হবে।
এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সংগঠনের বিস্তৃতি লাভে ভূমিকা রাখতে হবে।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে জমিয়ত মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি বলেন, আমি ছাত্র জমিয়ত থেকে উঠে আসা একজন দায়িত্বশীল। ছাত্র জমিয়ত আমার হৃদয়ের সংগঠন।এই সংগঠনকে আমি মনের আবেগ দিয়ে ভালোবাসি। তাই ছাত্র জমিয়তের দায়িত্বশীলদেরকে আমি বলবো, প্রতিটি দায়িত্বশীলকে জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি যুগ সচেতন হতে হবে। প্রতিটি কাজ ও পদক্ষেপে ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নেয়ার যোগ্যতা ও প্রজ্ঞা অর্জন করতে হবে। জীবন কে সাজাতে ও সংগঠন পরিচালনা এবং সামাজিক ও দ্বীনি কার্যক্রম আঞ্জাম দেয়ার ক্ষেত্রে প্রজ্ঞার কোন বিকল্প নেই। তাই প্রতিটি কর্মীকে প্রতিটি ধাপে মেধা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে হবে। ছাত্র জমিয়ত কে নতুন সাজে ও নতুন রুপে সজ্জিত হতে হবে। ৩২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে এই হোক সবার অঙ্গীকার।

সভাপতির বক্তব্যে রিদওয়ান মাযহারী বলেন, স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে এবং স্বাধীন দেশের যে কোন নিবন্ধিত সংগঠনের দেশের যে কোন উন্মুক্ত স্থানে বা কোন অডিটোরিয়াম হলে তাদের সাংগঠনিক কর্মসূচি পালনের অধিকার রাখে, কিন্তু আজ আমাদেরকে আমাদের নির্ধারিত বিএম অডিটোরিয়াম হলে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সভা করতে না দিয়ে প্রশাসন আমাদের নাগরিক ও সাংবিধানিক অধিকারকে খর্ব করেছে। আমাদের একটাই অপরাধ আমরা আপোষ করতে জানিনা আজ যদি আমরা আপোষ করতাম, তাহলে দেশের যে কোন স্থানে আমাদেরকে অনুষ্ঠান করতে দিতে প্রশাসন কোনো সংকোচ বোধ করত না। কিন্ত আমি স্পষ্ট বলতে চাই, জমিয়ত কখনও আপোষ করেনি।তার সহযোগী সংগঠন ছাত্র জমিয়তও কখনো আপোষ করতে পারে না। সুতরাং আমাদের সাংবিধানিক ও নাগরিক অধিকার কেড়ে নিয়ে আমাদের নির্দিষ্ট স্থানে অনুষ্ঠান করতে না দেয়ার কারণে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, দেশের ছাত্রসমাজ আজ চরম ক্রান্তিকাল অতিবাহিত করছে। যেই ছাত্র সমাজের মাধ্যমে একসময় বিভিন্ন দেশ বিজিত হয়েছিল, যেই ছাত্র সমাজের ভূমিকায় অতীতের বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম সফল হয়েছিল, সেই ছাত্র জনতা আজ টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, খুন,গুম সহ সকল প্রকার অন্যায় অপরাধে জড়িত হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি ছাত্র সমাজকে মেরুদন্ডহীন করার জন্য বিভিন্ন সময়ে ধাপে ধাপে অভিশপ্ত শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করার চক্রান্ত করা হচ্ছে। বর্তমানে ট্রান্সজেন্ডার এর নামে যেই বিষাক্ত শিক্ষা নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে, আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

তিনি আরও বলেন, অবিলম্বে এই শিক্ষানীতি বাতিল করতে হবে এবং ট্রান্স জেন্ডার এর বিরুদ্ধে কথা বলায় ব্রাক ইউনিভার্সিটির প্রফেসর আসিফ মাহতাব কে অন্যায়ভাবে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে তার কাছে ক্ষমা চেয়ে তাকে পুনরায় নিয়োগ দিতে হবে। অন্যথায় দেশের সকল শ্রেণীর ছাত্র জনতা ময়দানে নেমে আসলে পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাকালের পর থেকেই ছাত্র জনতার অধিকারের পক্ষে কথা বলে। এদেশের ছাত্র জনতা কে নীতি ও আদর্শের পথে পরিচালিত হওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করে। তাই আজকে ৩২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর দিনে আগামীর সমৃদ্ধ দেশ ও জাতি গঠনে নতুন করে শপথ নিতে হবে।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর যুগ্ম মহাসচিব ও ইউকে জমিয়ত এর সভাপতি ড. শুয়াইব আহমদ, সদ্য কারামুক্ত জমিয়ত নেতা মুফতি মুনির হোসাইন কাসেমী, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি মাওলানা শেখ মুজিবুর রহমান, ছাত্র জমিয়তের সাবেক সভাপতি ও জমিয়তের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি নাছির উদ্দীন খান, জমিয়তের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা যয়নুল আবেদীন, ছাত্র জমিয়তের সাবেক সহ সভাপতি মাওলানা আব্দুল হক কাউসারী, সাবেক সহ সভাপতি মাওলানা শরিফ মুহাম্মদ ইয়াহইয়া, জমিয়তের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুফতি জাবের কাসেমী, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মাওলানা শারফুদ্দিন ইয়াহইয়া, জমিয়তের ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও ছাত্র জমিয়তের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুফতি মাহবুবুল আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর জমিয়তের সভাপতি মুফতি মকবুল হোসাইন কাসেমী, ইউকে জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নাইম আহমদ, ছাত্র জমিয়তের সাবেক সাবেক সভাপতি মুফতি শরিফুল ইসলাম কাসেমী, সাবেক সভাপতি এখলাছুর রহমান রিয়াদ, সাবেক সহ সভাপতি মুঈনদ্দিন মানিক, সাবেক সহ সভাপতি আহমাদুল হক উমামা।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ এর সহ সভাপতি মাহমুদ হাসান, সাব্বির আহমদ, অর্থ সম্পাদক মারুফ বিল্লাহ, প্রচার সম্পাদক আবু সুফিয়ান মানসুর, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুইনুল ইসলাম, কলেজ ভার্সিটি বিষয়ক সম্পাদক যোবায়ের আহমদ, পাঠাগার সম্পাদক এনামুল হাসান নাঈম, সাহিত্য সম্পাদক হাসান মাহমুদ সহ বিভিন্ন জেলা, মহানগর থানা ও ক্যাম্পাস শাখার দায়িত্বশীল বৃন্দ।

গাজ্জা গনহত্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রায়ে যা বলা হয়েছে

0

হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালত অবরুদ্ধ গাজ্জা উপত্যকায় গণহত্যা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ইহুদিবাদী ইসরাইলকে নির্দেশ দিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলার রুলিংয়ে আদালত এই নির্দেশ দিল।

ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বর আগ্রাসন, গণহত্যা এবং মানবতা-বিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকা ডিসেম্বরে এই মামলা দায়ের করে। মামলার রুলিংয়ে আদালত ইসরাইলকে অবশ্যই গণহত্যা প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে তবে যুদ্ধ বন্ধ করার কথা বলেনি।

এদিকে, আদালতের এই রুলিংয়ের পর হামাসের অন্যতম মুখপাত্র সামি আবু জহুরি একে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, আদালতের এই রুলিংয়ের কারণে ইহুদিবাদী ইসরাইল আরো বেশি এক ঘরে হয়ে পড়বে এবং তারা যে অপরাধযজ্ঞ চালিয়েছে তা উন্মোচিত হবে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জুহরি বলেন, আদালত যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে তা বাস্তবায়নের জন্য দখলদারকে এখন বাধ্য করতে হবে।

দক্ষিণ আফ্রিকা এই মামলা দায়ের করলে ইসরাইল মামলা ঠেকানোর জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক চেষ্টা করেছে। এছাড়া, তারা গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে। মামলার রুলিংয়ে আদালত বলেছে, তারা দক্ষিণ আফ্রিকার আর্জির সাথে একমত এবং এই মামলা করার এখতিয়ার তাদের রয়েছে। আদালত আরো বলেছে, দক্ষিণ আফ্রিকা যে অভিযোগ করেছে, গণহত্যা কনভেনশন অনুযায়ী তার অনেক কিছুই গাজায় ঘটছে। কিন্তু আদালত দক্ষিণ আফ্রিকার অভিযোগের সাথে একমত হয়ে ইসরাইলকে সরাসরি গণহত্যা বন্ধের নির্দেশ দেয়নি।

গত ৭ অক্টোবর থেকে ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজায় বর্বর আগ্রাসন ও গণহত্যা শুরু করে। ইসরাইলের আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ২৬ হাজার ৮৩ জন ফিলিস্তিনি শহীদ এবং ৬৪ হাজার ৪৮৭ জন মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। এছাড়া বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন যাদের ব্যাপারে ধারণা করা হচ্ছে- ধ্বসে পড়া বিভিন্ন ভবনের নিচেই তারা চাপা পড়ে মারা গেছেন।

পার্সটুডে

ইসলামী শিক্ষা ও সংস্কৃতি ধ্বংসের চক্রান্ত রুখে দিতে হবে : মুফতী ফয়জুল করীম

0

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী ফয়জুল করীম বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে। স্বাধীনতার পর থেকে দেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। ইসলাম বিমুখ করে নাস্তিক্যবাদী জাতি গঠনে কাজ করা হচ্ছে। ভারতের প্রেসক্রিপশনে এদেশে শিক্ষা ও সংস্কৃৃতির বিরুদ্ধে আগ্রাসন চলছে। মেধাশূণ্য জাতি গঠনের চক্রান্ত চলছে। দেশবিদেশের বড় বড় কোম্পানীর শীর্ষে ভারতীয়রা। আমাদের দেশের জনগণ করে সুইপার-ক্লিনারের কাজ। এটা দীর্ঘদিনের চক্রান্তের ফসল।

আজ শুক্রবার বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে ‘বিতর্কিত শিক্ষা কারিকুলাম পরিবর্তন ও ট্রান্সজেন্ডারকে প্রোমোট’ করার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ পূর্ব সমবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, ছোট ছোট বাচ্চাদেরকে ডিভাইসমুখি করে গড়ে তোলার মাধ্যমে তাদের মেধা ও মননের ধ্বংস করা হচ্ছে। দেশের মেধাবীদেরকে মূল্যায়ন না করায় তারা বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছে। নাসার বিজ্ঞানীদের মধ্যে বাংলাদেশী বিজ্ঞানী থাকলেও তাদের কোন মূল্যায়ন করা হচ্ছে না।

তিনি বলেন, পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল করে দিয়ে শিক্ষার্থীদের জীবনকে ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে।

মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে স্পষ্ট করতে হবে তিনি ট্রান্সজেন্ডারের পক্ষে নাকি বিপক্ষে। ৯২ ভাগ মুসলমানের শিক্ষা ব্যবস্থায় কারা ট্রান্সজেন্ডার সংযোজন করেছে, তাদের পরিচয় তুলে ধরতে হবে। ট্রান্সজেন্ডারের নামে সমকামিতাকে প্রমোট করছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। সমকামিতার বিরোধিতা করায় আসিফ মাহতাব স্যারকে ব্র্যাক থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

তিনি তাকে চাকুরীতে পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে বলেন, অন্যথায় ব্র্যাকের সকল প্রতিষ্ঠানকে বয়কট করা হবে। ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক সরোয়ার স্যারকেও চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এধরনের আস্ফালন মেনে নেয়া হবে না।

বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, এ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত শিক্ষা কারিকুলামের মধ্যে মুসনমানদের ইতিহাস ছিল। আবু বকর (রা.) এর ইতিহাস ছিল ওমরের ইতিহাস ছিল। ড. শহিদুল্লাহর হাজারও গল্প ছিল। কিন্তু এগুলোকে আজ বিলীন করা হচ্ছে। ওরা (ভারত) জানে কাঁটাতারের বেড়াই বড় সীমান্ত নয়, এদেশের বড় সীমান্ত হলো মুসলমান। যদি এদেশের মুসলমানকে নষ্ট করা যায়, তাহলে কাঁটাতারে বেড়া থাকবে না। এপার বাংলা ওপার বাংলা এক হয়ে যাবে।

সীমান্তে বিজিবি সদস্য হত্যাকান্ডের নিন্দা জানিয়ে মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, বিজিবি হত্যাকান্ডের পরও কোন প্রতিক্রিয়া না থাকা প্রমাণ করে বিজিবির সদস্যদের পোশাক, বুট ও রাইফেল আছে, সাহস, রক্ত, মনুষ্যত্ব নেই।

সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, ডা. শহিদুল ইসলাম, নূরুজ্জামান সরকার, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, কেএম শরয়াতুল্লাহ, মুফতী মাছউদুর রহমান, হাফেজ মাওলানা মাকসুদুর রহমান, হাফিজুল হক ফাইয়াজ, হাফেজ শাহাদাত হোসেন প্রধানিয়া, মাইদুল ইসলাম সিয়াম, কাওছার মাহমুদ প্রমুখ।

পরে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট, পল্টন মোড়, বিজয়নগরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।

গত ২৪ ঘন্টায় ১৮৩ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করলো ইসরাইল; সর্বমোট শহীদ ২৬,০৮৩

0

গত ২৪ ঘন্টায় ১৮৩ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করলো বিশ্ব মানবতার শত্রু ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে একথা জানায় অবরুদ্ধ গাজ্জার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘন্টায় ১৯টি গণহত্যা অভিযান পরিচালনা করেছে দখলদার ইসরাইল। এতে ১৮৩ ফিলিস্তিনি শাহাদাত বরণ করেন ও ৩৭৭ জন গুরুতর আহত হোন। এছাড়া শত শত ফিলিস্তিনি ধ্বংসস্তুপের নীচে চাপা পড়েছে। তাদের কাছে পৌঁছতে পারছে না উদ্ধারকর্মী ও সাধারণ জনগণ।

এছাড়া সর্বমোট শহীদের সংখ্যা ২৬ হাজার ছাড়িয়ে ৩৮ জনে ও সর্বমোট আহত ৬৪ হাজার ৪৮৭ জনে গিয়ে পৌঁছেছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

সূত্র: আনাদোলু

বিএনপি বাংলাদেশের ডামি বিরোধী দল: ওবায়দুল কাদের

0

বিএনপিকে বাংলাদেশের ডামি বিরোধী দল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন বিএনপি হচ্ছে ডামি দল। আর কোনো ডামি দলের দরকার নেই। ওরা ডামি হয়ে গেছে। শোকে শোকে পাথর হয়ে গেছে। নেতাকর্মীদের ঘুম নেই। আশা হারিয়ে ফেলেছে। সবার মধ্যে এখন হতাশা। তাদের উত্তাল আন্দোলনের কথা শুনে ঘোড়াও হাসে।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল বলেন, বিএনপির এখন আর কোনো আশা নেই। নির্বাচন না করে তারা কত বড় ভুল করেছে তা অচিরেই বুঝতে পারবে। বিএনপির ২৫ হাজার নেতাকর্মী যারা ট্রেনে-বাসে আগুন দেওয়া, পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা, প্রধান বিচারপ্রতির বাড়িতে হামলা, এসব অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে জেলে গেছে। সৎ সাহস থাকলে এসব মামলা তারা আইনি প্রক্রিয়ায় ফেস করুক। যারা অপরাধ করেনি আইনি প্রক্রিয়ায় তারা মুক্ত হয়ে আসবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির এ মুহূর্তে কোনো আশা নেই। কারণ, নিষেধাজ্ঞাও নেই, ভিসানীতিও নেই। তাদের এখন আশায় আশায় দিন চলে যায়, রাত পোহায়। তাদের আশাটা আটলান্টিকের ওপারের দিকে তাকিয়ে থাকে। তাদের এখন কালো পতাকার মিছিল, এটা হলো শোক পালনের মিছিল। কালো পতাকা তো শোকের চিহ্ন, তারা তাহলে নিজেরাই জাতিকে বলে দিচ্ছে ‘আমরা পরাজয় বরণ করছি’।