খুলনার কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম বাহারুল ইসলামকে আটক করেছে র্যাব।
শুক্রবার (২২ জুলাই) ভোরে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
ভুক্তভোগী প্রিন্সিপাল মাসুদুর রহমান বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানকে মাদরাসার সভাপতি না করায় তার নির্দেশে আমাকে মারপিট করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের নিকট দেওয়া অভিযোগে মাসুদুর রহমান উল্লেখ করেন, গত সোমবার (১৮ জুলাই) তিনি মাদরাসায় বসে কাজ করছিলেন। এ সময় কয়রা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম বাহারুল ইসলাম এবং ওই মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ মোস্তফা আব্দুল মালেকের নির্দেশে স্থানীয় ইউনুসুর রহমান বাবু, মো. নিয়াজ হোসেন, মাসুদুর রহমান, মিলন হোসেন, জহুরুল ইসলাম, রিয়াল, আমিরুল, অমিত মন্ডল, রফিকুল গাজী, সাদিকসহ ১৫/২০ জন লোক তাকে জোর করে ধরে রুম থেকে কলার ধরে বের করে নিয়ে আসে। এ সময় তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এরপর তাকে সেখানেই ফেলে চোখে, ঘাড়ে, কানে, পিঠে এলাপাতাড়িভাবে মারপিট করে।
এরপর তাকে সেখান থেকে তুলে নিয়ে চেয়ারম্যানে বাহারুল ইসলামের অফিসের একটি কক্ষে নিয়ে আটকে রাখে। চেয়ারম্যান অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তাকে আঘাতের নির্দেশ দেয়। সেখানেও তাকে বেদম মারপিট করে। এতে তার চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং কানের পর্দা ফেটে যায়। সেখানে চেয়ারম্যান তাকে মাদরাসা থেকে পদত্যাগ করতে বলে। বিষয়টি তার পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। পরিবার প্রথমে তাকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।









