বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীর আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেছেন, ৯০ভাগ মুসলমানের দেশে মুসলিম ছাত্র ছাত্রীদের পাঠ্যপুস্তক থেকে ইসলামী শিক্ষা বাদ দিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে নাস্তিক বানানোর পাঁয়তারা করছে সরকার। একের পর এক অনৈতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে জনগণকে সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে। ভিন্ন মতের মানুষদেরকে গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হচ্ছে। সরকারের অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করার কারণে ওলামায়ে কেরামকে প্রতিহত করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ওলামায়ে কেরাম কারোর হুমকি-ধমকিতে ভয় করে না। বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। এদেশে হিন্দুস্তানের কোন চিন্তা চেতনা বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না।
সোমবার (৩০ নবেম্বর) রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে খেলাফত আন্দোলনের এক পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জি বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীনদল আওয়ামী লীগ ইসলামের বিরুদ্ধে কিছুই করবে না নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিলেও ক্ষমতার জোরে ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। ইসলামে মূর্তি বা ভাস্কর্য তৈরি করার কোন বৈধতা না থাকলেও এ দেশের সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলমানদের মতামতের তোয়াক্কা না করে বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য স্থাপনের নামে এ দেশকে মূর্তির রাজ্যে পরিণত করতে চায়। মূর্তিপূজকরা মূর্তি তৈরি করে, পূজা করে, তারা তাদের মন্দিরে মূর্তি রাখে এতে মুসলমানরা বাধা দিচ্ছে না। কিন্তু মুসলিম দেশকে মূর্তির দেশ বানানোর চক্রান্ত বরদাশত করা হবে না।
তিনি বলেন, কোন মুসলিম দেশে ভাষ্কর্য থাকলেও ইসলামে সেটা হালাল হওয়ার দলিল নয়। ইসলামে ভাষ্কর্যের বৈধতা থাকলে দুনিয়াতে নবী-রাসূলদের ভাষ্কর্য থাকতো। রাষ্ট্রের টাকা অপচয় করে জনগণও ইসলামের স্বার্থবিরোধী কোন কাজ করতে দিবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মুফতী সুলতান মহিউদ্দিন, মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী ও মাওলানা রুহুল আমীন প্রমূখ।










