শুক্রবার, মে ৯, ২০২৫

‘বাবরী মসজিদ চিরদিন থাকবে আমাদের অন্তরে; কেউ ধ্বংস করতে পারবে না’

spot_imgspot_img

পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কোলকাতায় ‘সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন’-এর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে বাবরী মসজিদ শহীদ হওয়ার বার্ষিকীতে প্রতীকি কালা দিবস পালন কর্মসূচিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়েছে।

রবিবার (৬ ডিসেম্বর) কলকাতায় এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময়ে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। প্ল্যাকার্ডে ‘বাবরী মসজিদ আমাদের হৃদয়ে, কেউ তাকে ধ্বংস করতে পারবে না’, ‘বাবরী মসজিদ চিরদিন রয়ে যাবে আমাদের অন্তরে’, ‘কর্পোরেট বন্ধু, কৃষক বিরোধী ফ্যাসিবাদ নিপাত যাক’, ‘ফ্যাসিবাদী সাম্প্রদায়িক শক্তি নিপাত যাক’ ইত্যাদি লেখা ছিল।

মুহাম্মাদ কামরুজ্জামান বলেন, ৫০০ বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক বাবরী মসজিদকে ভারতের অশুভ ফ্যাসিবাদী শক্তি যারা দেশের ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করে না, যারা অন্য ধর্মের প্রতি সম্মান জানাতে পারে না, সেই অশুভ সাম্প্রদায়িক শক্তি তারা ৫০০ বছরের মসজিদকে ধুলোর সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছিল। আমরা সেই দিনকে স্মরণ করে আজকে এখানে প্রতীকি কালা দিবস পালনের ডাক দিয়েছিলাম।

তিনি বলেন, এইদিনেই ভারতের ফ্যাসিবাদী শক্তি অযোধ্যায় বাবরী মসজিদকে গুঁড়িয়ে দিয়ে উল্লাস দিবস পালন করেছিল। এই দিনেই সংবিধান প্রণেতা আম্বেদকরের প্রয়াণ দিবস। আমরা আম্বেদকরকে স্মরণ করে ভারতের সংবিধানকে রক্ষা করবো।

সংবিধানে ভারতের সমস্ত মানুষের স্বাধীনভাবে ধর্ম পালনের অধিকার দেওয়া হয়েছে বলেও ‘সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন’-এর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ কামরুজ্জামান মন্তব্য করেন।

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রকাশ্য দিবালোকে ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় কয়েকশো বছরের পুরোনো বাবরী মসজিদকে শহীদ করে দেয় ‘করসেবক’ নামধারী হিন্দু সন্ত্রাসীরা। এর পরে বাবরী মসজিদের জমিতে হিন্দুদের রাম মন্দির নির্মানের আদেশ দেয় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। যদিও মসজিদের জমিতে রাম মন্দির থাকার কোন প্রমান দিতে পারেনি আদালত। পরবর্তীতে বাবরী মসজিদ শহীদ করার সাথে সম্পৃক্ত সকল হিন্দু সন্ত্রাসীকে বেকসুর খালাস দেয় ভারতের শীর্ষ আদালত।

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img