অস্ট্রিয়ার একটি কিন্ডারগার্ডেনে শিক্ষক প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া একজন মুসলিম নারীকে বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছিল। এ সময় তাকে বার বার হিজাব পরিত্যাগ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়। বিষয়টি আদালতের দরজা পর্যন্ত গড়ায়। এতে আদালত লিঙ্গ ও ধর্মের ভিত্তিতে বৈসম্মের প্রমাণ পায়। এতে ওই নারীকে ২০০০ পাউন্ড (২১৯৬ ডলার) ক্ষতিপূরণ দিয়েছে দেশটি। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি কাঙ্ক্ষিত পদটি পাননি।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা আঞ্চলিক আদালত এই রায় দেয়।
রায়ে বলা হয়েছে, ১৯ বছর বয়সী ওই নারী ইতিমধ্যে অস্ট্রিয়ার একটি কিন্ডারগার্ডেনে সহকারি হিসেবে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন। তবে তিনি ভিয়েনার শিশু বিষয়ক সুপারভাইজার হিসেবে প্রশিক্ষণ নিতে গেলে সেখানে বৈষম্যের শিকার হন।
আদালতে আইনিভাবে ঐ নারীর প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থা লিটিগেশন অ্যাসোসিয়েশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “আবেদন প্রক্রিয়া চলাকালীন তাকে বারবার হিজাব সম্পর্কে বৈষম্যমূলক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল ও তাকে তা খুলে ফেলার অনুরোধ করা হয়।”
উল্লেখ্য, অস্ট্রিয়ান ‘ওম্বড ফর ইকুয়াল ট্রিটমেন্ট’ সংস্থার প্রধান সান্দ্রা কনস্ট্যাটজকির জানান, এখানে বৈষম্যের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৭৪ শতাংশ ইসলাম ধর্মালম্বী। এছাড়াও প্রায় ৯০ শতাংশ মুসলিম নারীর বৈষম্যের শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর