পুলিশী নিরাপত্তায় আগাম ঘোষণা দিয়ে পবিত্র ঈদুল আযহার দিন কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা ওআইসির বিবৃতিতে অবশেষে টনক নড়লো সুইডেনের।
রবিবার (২ জুন) বাকস্বাধীনতার নামে এক ইসলাম বিদ্বেষীকে মুসলিমদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পোড়ানোর অনুমতি দেওয়া দেশটি দু:খ প্রকাশ করে।
সুইডেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্প্রতি এক ব্যক্তি কর্তৃক সংঘটিত ইসলাম বিদ্বেষ মুসলিমদের হৃদয়ে কতটা আঘাত করতে পারে ও এর প্রতিক্রিয়া কতটা তীব্র হতে পারে সে সম্পর্কে সুইডেন অবগত রয়েছে। সুইডিশ সরকার এজন্য দু:খ প্রকাশ করছে এবং এধরণের হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। কারণ এধরণের হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড সুইডিশ সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রতিফলিত করে না।
পবিত্র কুরআন সহ যে কোনো ধরণের ধর্মগ্রন্থ পোড়ানো অত্যন্ত নিন্দনীয়। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সুস্পষ্ট উস্কানি। সেই ধর্মের প্রতি অসম্মান এবং বিদ্বেষ প্রদর্শনের জঘন্য উপায়।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (২৮ জুন) পবিত্র হজ্ব শেষে ঈদুল আযহার দিন সুইডেনে রাষ্ট্রীয় সহায়তায় স্টকহোম মসজিদের সামনে কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠে।
৩৭ বছর বয়সী সালওয়ান মোমিকা নামের ইরাকি বংশোদ্ভূত এক ইসলাম বিদ্বেষী সুইডিশকে দেশটির পুলিশ প্রশাসন কুরআন পোড়ানোর অনুমতি ও নিরাপত্তা প্রদান করে।
এ ঘটনায় অন্যান্যদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা ওআইসির পক্ষ থেকে রবিবার (২ জুন) তীব্র নিন্দা ও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়।
সৌদিতে অবস্থিত ৫৭টি মুসলিম দেশের এই বৃহৎ সংস্থা পুরো মুসলিম বিশ্বকে সুইডেনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানায়।
সূত্র: আল জাজিরা