গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের দায়ে সীতাকুণ্ড থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল আলম (৩২), কনস্টেবল সাইফুল ইসলামসহ (২৭) পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অপর তিন আসামি হলেন- সোর্স রিপন (৩৫) ও হারুন (৩৩) এবং গাড়ি চালক রাজু (২৫)। তাদের তিনজনের বাড়ি সীতাকুণ্ড এলাকায়।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে সীতাকুণ্ড থানায় দণ্ডবিধির ১৭০/৩৯৫ ধারায় এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নম্বর: ৫০(১২)২০।
সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত এসআই সাইফুল আলম, কনস্টেবল সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের সাময়িক বরখাস্তও করা হয়েছে। মামলার বাদি জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ থানাধীন নিলোখিয়া দক্ষিণপাড়া এলাকার জহুরুল হকের ছেলে আবু জাফর (৪৩)। তিনি গাজীপুর জেলার গাছা এলাকায় বসবাস করেন। গত ২০ ডিসেম্বর আবু জাফর একটি পিকআপ কিনতে গাজীপুর থেকে সীতাকুণ্ডে আসেন। কিন্তু দরদামে বনিবনা না হওয়ায় তিনি গাড়ি না কিনে সন্ধ্যায় ফিরে যাওয়ার জন্য সীতাকুণ্ড পৌর সদর বাসস্ট্যান্ডে শ্যামলী বাস কাউন্টারে অপেক্ষা করতে থাকেন। একপর্যায়ে দুই র্সোস ও সীতাকুণ্ড থানার এসআই সাইফুল আলম ও ওসির বডিগার্ড কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম নিজেদের ডিবি হিসেবে পরিচয় দেয় এবং জাফরের কাছে ইয়াবা রয়েছে বলে ভয় দেখিয়ে তাদের গাড়িতে তুলে নেন। পরে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে পেটে ইয়াবা রয়েছে বলে ভয় দেখিয়ে এক্স-রে করান।
কিন্তু ইয়াবা না পেলেও গাড়ি কেনার জন্য তার সঙ্গে রাখা ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা লুটে নেয় এবং ভয় দেখিয়ে একটি গাড়িতে তুলে দেয়। আবু জাফর গাড়িতে করে ঢাকায় চলে যান। পরে তিনি পুনরায় সুবিচারের আশায় সীতাকুণ্ড থানায় এসে ঘটনা জানান। ঘটনাটি জানতে পেরে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সীতাকুণ্ড সার্কেল) আশরাফুল করিম বলেন, অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে। তাদের দুইজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে ।