আমেরিকার প্রত্যক্ষ মদদে গাজ্জায় প্রায় ৪৫ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে বিশ্বমানবতার শত্রু ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) টেলিগ্রামে এক বার্তায় একথা জানায় সশস্ত্র সংগ্রামে ফিলিস্তিনিদের নেতৃত্ব দেওয়া স্বাধীনতাকামী ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।
বার্তায় বলা হয়, গাজ্জা উপত্যকায় গত ২৪ ঘন্টায় ২টি গণহত্যা অভিযান পরিচালনা করেছে ইসরাইলের দখলদার সেনারা। এতে ১৭০ জন আহত ও ৫৫ জন শাহাদাত বরণ করেন। ফলে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত শহীদের সংখ্যা ৪৪ হাজার ৯৩০ ও আহত ১ লক্ষ ৬ হাজার ৬২৪ এ গিয়ে পৌঁছেছে।
সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, আন্তর্জাতিক আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ সত্ত্বেও আমেরিকা, ব্রিটেন ও ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশের প্রত্যক্ষ সহায়তায় গাজ্জায় গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব মানবতার শত্রু ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল।
এমনকি যুদ্ধাপরাধী অবৈধ রাষ্ট্রটির প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির বিষয়ে আমেরিকার ভরসায় তারা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ও মামলাকারী দেশগুলোকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।
গত ২৮ নভেম্বর অবৈধ রাষ্ট্রটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সা’র বলেন, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির অপরাধে ওয়াশিংটন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে শাস্তি দিবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
তিনি আরো বলেন, গাজ্জা সংঘাতে মানবতা বিরোধী ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আইসিসি যে পদক্ষেপ নিয়েছে ইসরাইল সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করবে। তাদের এই সিদ্ধান্ত আমেরিকা সহ বিশ্বের বহু দেশকে হতাশ করেছে।
সম্প্রতি চেক-প্রজাতন্ত্র সফরকালে তিনি বলেছিলেন, আমি বিশ্বাস করি, যেসব দেশ এই ইস্যুতে আইসিসিকে সহযোগিতা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ও আইসিসির বিরুদ্ধে শীগ্রই আইনি কার্যক্রম শুরু হবে।
গত ২১ নভেম্বর গণহত্যা পরিচালনার মূল হোতা খ্যাত ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইসিসি। যুদ্ধাপরাধ ও মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে মামলার প্রায় বছর খানেক পর তাদের উপর এই পরোয়ানা জারি করা হয়। এছাড়া আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালত আইসিজেতেও গণহত্যার অপরাধে মামলা লড়তে হচ্ছে বিশ্বমানবতার শত্রু দেশটিকে।
