সিরিয়া থেকে অত্যাচারী শাসক বাশার আল আসাদকে উৎখাত করতে সুন্নি মুসলিম যোদ্ধাদের সংগঠন তাহরির আল শামকে (এইচটিএস) সকল ধরনের সহায়তা দিয়েছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। এতে রাগান্বিত হয়ে সুন্নি যোদ্ধাদের উপর থেকে আঙ্কারাকে সমর্থন উঠিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানায় তেহরান। তবে শেষ পর্যায়ে গিয়েও তা মানতে অস্বীকৃতি জানায় তুরস্ক। ফলে সিরিয়া ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন বাশার আল আসাদ।
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ঠিক এক সপ্তাহ আগে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে হওয়া এক বৈঠকে তুরস্কের উপর এমন অভিযোগ এনেছিলেন বাশার আল আসাদ।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) ইরানের দুইজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ার বড় বড় শহরগুলো দখল করে এইচটিএস যোদ্ধারা যখন অপ্রতিরোধ্য গতিতে রাজধানীর দিকে অগ্রসর হচ্ছে, ঠিক তখন (২ ডিসেম্বর) দামেস্ক সফর করেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। এসময় বাশার রাগান্বিত কন্ঠে আরাকচিকে বলেন, তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তুরস্ক। এমনকি বিদ্রোহীদের উপর দৃঢ় সমর্থন জানাচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট এরদোগান।
এই বৈঠকে বাশারকে আশ্বস্ত করে আরাকচি বলেন, তিনি আগামীকালই তুরস্কের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন।
পরদিন সকালে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেন আরাকচি। উত্তেজনাকর এই বৈঠকে সুন্নি যোদ্ধাদের সহায়তা করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি। তবে ইরানের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান। ফলে অখুশি অবস্থাতেই আঙ্কারা ত্যাগ করেন আরাকচি।
উল্লেখ্য, এই বৈঠকের ঠিক সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই পতন ঘটে সিরিয়ার বাশার আল আসাদ সরকারের। পতনের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাঁকান ফিদান ঘোষণা দেন, সিরিয়াতে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেবে তুরস্ক।
সূত্র: রয়টার্স











