সৌদিকে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরিবর্তে ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূখণ্ডে জায়গা দেওয়ার পরামর্শ দিলেন বর্তমান বিশ্বের কুখ্যাত খুনী ও ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এক টিভি সাক্ষাতকারে তিনি কথা জানান।
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ইস্যুতে সৌদি আরবের সাম্প্রতিক কঠোর অবস্থানের ব্যাপারে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের জন্য নিজস্ব ভূখণ্ডের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরিবর্তে সৌদি আরবের উচিত তাদের নিজ দেশে গ্রহণ করা। তারা চায়লে সৌদিতেই একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারে। সেখানে তাদের প্রচুর খালি জমি রয়েছে।
সৌদির সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের চুক্তি করতে আসলেই ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সম্পর্ক স্থাপনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকে সামনে নিয়ে আসার শর্তটিকে আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। কেননা সৌদির সাথে ইসরাইলের শান্তির সম্পর্ক স্থাপন শুধু সম্ভবই নয় বরং অচিরেই ঘটবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
এছাড়া ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। আপনারা ৭ অক্টোবর থেকে চলমান ঘটনার পেছনে যে শক্তি কাজ করছে আপনি কি বলতে পারবেন তা কি? তা কি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র নয়? সেটি ছিলো ফিলিস্তিন রাষ্ট্র, যার নাম গাজ্জা। হামাসের নেতৃত্বাধীন একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র। আর আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন আমরা এর (গাজ্জা,ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের) ফলাফলে কি পেয়েছি।
তবে সৌদি নেতানিয়াহুর এমন বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে পাল্টা বিবৃতি দেয় এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও স্বীকৃতির বিষয়ে পুনরায় নিজেদের অনড় অবস্থানের কথা জানান দেয়।
অপরদিকে আরব বিশ্বের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গতকাল আবার ফিলিস্তিনিদের গাজ্জা খালি করে দেওয়ার প্রতি জোর দেন।
তিনি বলেন, কেনো ফিলিস্তিনিরা গাজ্জায় ফিরে যেতে চায়? অথচ ছোট্ট ভূখণ্ডটি তাদের জন্য দুর্ভাগ্যের বলে প্রমাণিত হয়েছে। সেখানে তাদের জাহান্নামের তীব্রতা ভোগ করতে হয়েছে। পুরো গাজ্জা ধূলিস্যাৎ হয়ে গিয়েছে। কিছুই বাকি নেই। সাধারণত এমন জায়গায় তারাই ফিরে যেতে চায় তাদের যাওয়ার আর কোনো জায়গা নেই।
এছাড়া বর্তমানে তাদের চিকিৎসা ও ভালো খাবারদাবারের প্রয়োজন রয়েছে। গাজ্জা পুনর্গঠন পর্যন্ত জর্ডান ও মিশরে তারা ভালোভাবে থাকতে পারবে। চিকিৎসা ও ভালো খাবারদাবার পাবে। পরবর্তীতে ফিরে আসবে।
তিনি আরো বলেন, বিশ্বের দারুণ সব ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির সাথে আমাদের কাজের অভিজ্ঞতা আছে। তাদের মাধ্যমে আমেরিকা গাজ্জাকে মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরায় (সমুদ্র তীরবর্তী উন্নত ও নৈসর্গিক শহর) পরিণত করবো। এখানে মার্কিন সেনাদের প্রয়োজন হবে না। যুদ্ধ শেষে ইসরাইল স্বেচ্ছায় গাজ্জাকে আমেরিকার হাতে তুলে দিবে।
সূত্র: আনাদোলু, আল জাজিরা