ভারতে ২০২৪ সালে মুসলিমসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের ঘটনা আগের বছরের তুলনায় ৭৪ শতাংশ বেড়েছে। বিশেষ করে গত বছরে দেশটির জাতীয় নির্বাচন ঘিরে এমন বক্তব্য ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) তাদের এক প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানিয়েছে ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ইন্ডিয়া হেট ল্যাব।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আসল ঘটনা হলো ২০২৪ সাল ছিল ভারতে জাতীয় নির্বাচনের বছর। ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত সাত ধাপে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচন ২০২৩ সালের তুলনায় (২০২৪ সালে) বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের ঘটনার ধরন তৈরির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এক-তৃতীয়াংশ বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য দেয়ার ঘটনা ঘটে গত বছরের ১৬ মার্চ থেকে ১ জুন পর্যন্ত। এ সময় নির্বাচন চলছিল। বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য আরও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ে মে মাসে। এপ্রিলে নরেন্দ্র মোদি ভারতের মুসলিমদের অনুপ্রবেশকারী বলে আখ্যা দিয়েছিলেন।
রয়টার্সের খবরে জানানো হয়, ইন্ডিয়া হেট ল্যাব ২০২৪ সালে ভারতে ১ হাজার ১৬৫টি সংখ্যালঘুবিদ্বেষী বক্তব্যের ঘটনা নথিবদ্ধ করে।আগের বছর এই সংখ্যা ছিল ৬৬৮টি। রাজনৈতিক সমাবেশ, ধর্মীয় সভা, প্রতিবাদ মিছিল ও সাংস্কৃতিক জমায়েতের মতো জায়গায় এসব বক্তব্য লক্ষ্য করা যায়।
রয়টার্স জানায়, ওয়াশিংটনে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস এই প্রতিবেদন নিয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি। হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠকের কয়েকদিন আগে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক কাশ্মীরি সাংবাদিক রাকিব হামিদ নায়েক প্রতিষ্ঠিত ইন্ডিয়া হেট ল্যাব ওয়াশিংটন-ভিত্তিক একটি গবেষণা সংস্থা। এটি অলাভজনক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অফ অর্গানাইজড হেটের একটি প্রকল্প।