গাজ্জায় অবস্থিত ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলি বিন্দখানায় এখনও আটক রয়েছে ১৬০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যকর্মী। তাদের মধ্যে রয়েছেন ২০ জনের বেশি চিকিৎসক। এ ছাড়াও গাজ্জায় ইসরাইলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ২৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন। আটক হওয়া বন্দিরা বিগত কয়েকমাস ধরে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। শারীরিক নির্যাতন থেকে শুরু করে মারধর এমনকি অভুক্ত রাখা হচ্ছে তাদের। যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর মুক্তিপ্রাপ্ত কিছু বন্দি স্বাস্থ্যকর্মীদের মুখে উঠে এসেছে সেসব লোমহর্ষক বর্ণনা।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজ্জা থেকে ২৯৭ জন স্বাস্থ্যসেবা কর্মীকে আটক করেছে ইসরাইলি বাহিনী। তবে কতজনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বা আটকে রাখা হয়েছে সে বিষয়ে সংস্থার কাছে কোনো আপডেট তথ্য নেই। আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালক ডক্টর মোহাম্মদ আবু সেলমিয়াকে বিনা অভিযোগে সাত মাস কারাগারে বন্দি করে রাখে ইসরাইল।
ডক্টর মোহাম্মদ আবু সেলমিয়া জানান, বন্দি জীবনের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে যত কথাই বলি না কেন বাস্তবচিত্র তার চেয়ে অনেক করুণ।
কারাগারের স্মৃতি স্মরণ করে তিনি বলেন, রাইফেলের বাট দিয়ে পিটিয়েছে তারা। শরীরের ওপর লেলিয়ে দিয়েছে কুকুর। সেখানে খুব অল্প পরিমাণে খাবার দেওয়া হতো। পরিচ্ছন্ন থাকার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। সাবান, পানি, টয়লেট কোনোকিছুরই সুব্যবস্থা ছিলো না।
ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজ্জা স্বাস্থ্য খাতে ক্ষতির কথা উল্লেখ করে ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক ড. টেড্রোস আধানম গেব্রেইসাস বলেন, গাজ্জার সবচেয়ে সিনিয়র দুই ডাক্তার-ডক্টর ইয়াদ আল-রান্তিসি, কামাল আদওয়ান হাসপাতালের একজন পরামর্শক প্রসূতি এবং স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ এবং আল-শিফা হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের প্রধান ডা. আদনান আল-বুরশ আটক অবস্থায় মারা গেছেন বলে জানা গেছে।









