বর্তমানে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ মুসলিম। তবে বৈশ্বিক নীতি নির্ধারণ, মৌলিক অধিকার প্রণয়ন এবং আন্তর্জাতিক আইনি কাঠামোতে মুসলিমদের ন্যায্য কোনো প্রতিনিধি নেই বললেই চলে। ফলে এক ধরনের বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন মুসলিম সম্প্রদায়। বঞ্চিত হচ্ছেন ন্যায্য অধিকার থেকে। যে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় মুসলিমদের ন্যায্য প্রতিনিধিত্বের দাবি তুলে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো ক্ষমতা সম্পন্ন মুসলিম দেশ থাকার পক্ষে মত দিয়েছেন তিনি।
সোমবার (০৩ মার্চ) আঙ্কারায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে ১৬ তম ঐতিহ্যগত ইফতার পার্টিতে যোগদানের পর এ বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি।
এরদোগান বলেন, “জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো ক্ষমতা সম্পন্ন মুসলিম দেশ থাকা শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় নয়, বরং তা বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত।”
তিনি আরো বলেন, ইসলামভীতি, শরনার্থী বিরোধী মনোভাব ও বাণিজ্যিক যুদ্ধের মতো মতাদর্শ ধারণের কারণে নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা আজ অচলাবস্থার সম্মুখীন হয়েছে। এই ধরনের মতাদর্শ জঙ্গলের আইন তৈরির পথ প্রশস্ত করে।
বিশ্বকে সতর্ক করে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, একটি নিষ্ঠুর, নিপীড়ন মূলক ও অন্যায্য বিশ্ব ব্যবস্থা তৈরি করা হচ্ছে, যেখানে শুধুমাত্র দুর্বল মানুষরাই ভুক্তভোগী হবেন।
সূত্র: ডেইলি সাবাহ









