যুদ্ধের কৌশল পরিবর্তন করেছে ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। নতুন করে সৈন্য নিয়োগ ও প্রশিক্ষাণ দিচ্ছে তারা, যার ফলে প্রতিদিন আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে সংগঠনটি।
সোমবার (২৪ মার্চ) ইসরাইলের নেটিভোটের বাসিন্দা রাফায়েল হায়নার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ইসরাইলি সংবাদপত্র মারিভ।
মারিভকে হায়ন বলেন, এই মুহূর্তে হামাস অবিরাম প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এমন জায়গায় তাদের অবস্থান, যেখানে আইডিএফের সেনারা পৌঁছাতে পারেনি। হামাস কেবল প্রশিক্ষণই দিচ্ছে না, তাদের পদমর্যাদার জন্য বিপুল সংখ্যক নতুন সেনা নিয়োগও করছে।
এর আগে, রাফায়েল হায়ন ২০২৩ সালে তার বাড়ির ভেতরে স্থাপিত একটি গোয়েন্দা সেলের মাধ্যমে হামাস এবং ইসলামিক জিহাদের যোগাযোগ সম্পর্কে জানতে পারার পর গাজ্জা উপত্যকায় সামরিক কার্যকলাপ সম্পর্কে ইসরাইলি নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের অবহিত করেছিলেন। পরে হায়নের আড়িপাতার সরঞ্জাম আইডিএফ বাজেয়াপ্ত করে।
হায়ান বলেন, আমি যা শুনেছি (আড়িপাতার সরঞ্জামের মাধ্যমে), হামাস এই মুহুর্তে যুদ্ধকে অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করছে না। কারণ যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের হাতে জিম্মি থাকবে ততক্ষণ পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকবে। বর্তমানে তাদের কাছে ইসরাইলি জিম্মি আছে, যা তাদের জন্য বড় শক্তি।
তিনি বলেন, হামাসের কার্যক্রমের ধরণ ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। হামাসের যা পরিবর্তন হয়েছে তা হল-তারা আগে ভূমির উপরে যুদ্ধ করত, কিন্তু এখন তারা মাটির নিচে যুদ্ধ করে। হামাস যোদ্ধারা খুব কম প্রকাশ্যে আসে। তারা প্রতিটি যোদ্ধাকে একটি ক্যামেরা রাখতে বলে যাতে তারা রিয়েল-টাইমে সবকিছু রেকর্ড এবং সম্প্রচার করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, তারা প্রতিদিন এমনভাবে অস্ত্র পাচার করে যা আইডিএফ সনাক্ত করতে পারে না।