চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাদের নাম অনুমতি ছাড়া ওলামা দলে অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ওলামা দল বাঁশখালী উপজেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাঁশখালী উপজেলা শাখার সাবেক প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক ক্বারী ফোরকান, চাম্বল ইউনিয়ন শাখার সেক্রেটারি মাওলানা খোরশেদ আলম এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পুকুরিয়া ইউনিয়ন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা ইমরান উল্লাহকে।
এ নিয়ে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাফেজ মাওলানা ইমরান উল্লাহ বলেন, আমি একজন আলেম। আমার সম্পর্ক ইসলামী দলের সাথেই। শুধু তাই না, আমি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দায়িত্বশীল। আমার অনুমতি ছাড়া ওলামা দলে আমার নাম অন্তর্ভুক্ত করা নিছক প্রতারণা। আমি এমন কর্মকান্ডের ধিক্কার জানাচ্ছি।
ইসলামী আন্দোলন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক নুর আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, আমরা বিষয়টি যাচাই-বাছাই করছি। অনুমতি ছাড়া আমাদের দায়িত্বশীলদের নাম যারা ব্যবহার করেছে, নিঃসন্দেহে তারা অন্যায় করেছেন। আমরা বিএনপি এবং তার সহযোগী সংগঠন ওলামা দলকে বলবো, এসব অনুচিত কাজের সাথে যারা জড়িত তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনুন। এটা একজন ব্যক্তির ইমেজকে কলুষিত করে। কারো অনুমতি ব্যতিত ভিন্ন আদর্শের সংগঠনে নাম অন্তর্ভুক্তি আইনগত অপরাধ। ওলামা দল চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা এ বিষয়ে তদন্ত করে সঠিক সিন্ধান্ত নিবে বলে আশা করছি।
এদিকে কমিটিতে খেলাফত মজলিস বাঁশখালী উপজেলা শাখার বায়তুলমাল সম্পাদকের নামও অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বাঁশখালী উপজেলা ওলামা দলের নবগঠিত কমিটির আহবায়ক নজরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এটা আমাদের অজান্তে হয়েছে। আমরা দ্রুত তদন্ত করে এ বিষয়ে সিন্ধান্ত নেব।
উল্লেখ্য, রবিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ওলামা দলের আহ্বায়ক কমিটির তালিকা ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় উঠে।এতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন।