শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে সরকারের নীরবতা জাতিকে উদ্বিগ্ন করছে: সাধারণ আলেম সমাজ

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সাম্প্রতিক সুপারিশ নিয়ে সরকারের নীরবতা জাতিকে উদ্বিগ্ন করছে বলে মন্তব্য করেছে সাধারণ আলেম সমাজ।

সোমবার (২১ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতে মন্তব্য করে সংগঠনটি।

বিবৃতিতে সাধারণ আলেম সমাজ বলেছে, গত কয়েকদিন ধরে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের নামে প্রস্তাবিত কিছু সুপারিশ নিয়ে দেশের ধর্মপ্রাণ জনগণ, ইসলামী চিন্তাবিদ, ওলামায়ে কেরাম, গবেষক এবং নীতিবান নাগরিকগণ গভীর উদ্বেগ ও প্রতিবাদ প্রকাশ করে আসছেন। বিশেষত মুসলিম পারিবারিক ও উত্তরাধিকার আইন বাতিল, অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়ন, এবং জাতিসংঘের সিডও (CEDAW) ভিত্তিক সুপারিশ বাস্তবায়নের মতো বিষয়গুলো বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনতার ধর্মীয় চেতনা, সংবিধান স্বীকৃত ধর্মীয় অধিকার এবং রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতার জন্য একটি সরাসরি হুমকি।

বিবৃতিতে বলা হয়, দুঃখজনক হলেও সত্য, এইসব আপত্তিকর সুপারিশ নিয়ে তিন দিন যাবত গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া চললেও অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যাখ্যা, প্রতিক্রিয়া কিংবা দৃষ্টিভঙ্গি আমরা দেখতে পাইনি। এই নীরবতা জনমনে গভীর প্রশ্ন ও সন্দেহ তৈরি করছে—রাষ্ট্র কি তাহলে এই বিতর্কিত সুপারিশকে নীরবে বৈধতা দিচ্ছে?

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, ইসলামী মূল্যবোধভিত্তিক জনগোষ্ঠী এখনও সরকারের পাশে রয়েছে কেবল এই আশ্বাসে যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের স্থিতি, ধর্মীয় ভারসাম্য ও সামাজিক ঐক্য রক্ষায় সংবেদনশীল থাকবে। কিন্তু ধর্মীয় বিশ্বাস ও সামাজিক নৈতিকতাকে পাশ কাটিয়ে কিছু এনজিওপন্থী, সেক্যুলারবাদী, সমাজ বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠীর পরামর্শে যদি এই সরকার দেশের আইন ও সংস্কৃতিকে আমূল পরিবর্তনের পথে হাঁটতে চায়, তাহলে সেটি এক ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাবে।

বিবৃতিতে ড. ইউনূসের আশপাশে থাকা এনজিও প্রতিনিধি ও তথাকথিত উন্নয়ন বিশেষজ্ঞদের সমালোচনা করে বলা হয়, তারা হয়তো আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় বিবৃতি দিতে পারবে, কিন্তু দেশের ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর সামনে দায়মুক্ত নয়।

বিবৃতিতে সাধারণ আলেম সমাজ তিনটি দাবি উত্থাপন করেন:

১।  এই নারী সংস্কার কমিশনের আপত্তিকর সুপারিশসমূহ অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।

২। কমিশনের গঠন-পুনর্গঠন করতে হবে, যাতে ইসলামপন্থী, হিজাবী নারী, মাদরাসা সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি ও বাস্তব সমাজ প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

৩। জনগণের সম্মতি ছাড়া পারিবারিক আইন সংস্কারের যে কোনো উদ্যোগ বন্ধ করতে হবে।

spot_imgspot_img

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img
spot_img