নিজেদের সামরিক শক্তি জোরদারের লক্ষ্যে ২০২৩ সালে নিজেদের বিমান বাহিনীতে ৪০ টি ইউরো ফাইটার টাইফুন জেট যুক্ত করতে আগ্রহ প্রকাশ করে তুরস্ক। তবে এতে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে জার্মানির অন্তর্বর্তীকালীন জোট সরকার। তুরস্কে তথাকথিত ‘গণতন্ত্রের মানদণ্ডের’ দোহাই দিয়ে যুদ্ধবিমান বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তারা।
জার্মানির জোট সরকারের অভ্যন্তরীণ সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে এমন তথ্য প্রকাশ করেছে বার্লিনের অর্থনৈতিক বিষয়ক দৈনিক পত্রিকা হ্যান্ডেলসব্লাট।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইস্তাম্বুলের মেয়র ইকরেম ইমামোগলু’র গ্রেফতারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানির জোট সরকার।
প্রসঙ্গত, গত মাসে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হন তুরস্কের ইস্তাম্বুলের মেয়র ও প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) শীর্ষস্থানীয় নেতা ইমামোগলু। তুরস্ক বিরোধী দেশগুলোর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এসব দাবি জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে তুর্কি সরকার।
এদিকে, যুদ্ধবিমান বিক্রয়ের উপর জার্মানি ভেটো দিলেও তুরস্কের পাশে দাঁড়িয়ে আছে যুক্তরাজ্য।
বলে রাখা ভালো যে, ইউরোফাইটার টাইফুন যুদ্ধবিমানগুলো জার্মানি, ব্রিটেন, ইতালি ও স্পেনের একটি কনসোর্টিয়াম দ্বারা নির্মিত, যাদের প্রতিনিধিত্ব করছে এয়ারবাস, বিএই সিস্টেমস এবং লিওনার্দো কোম্পানিগুলো। তাই এই উন্নত যুদ্ধবিমান বিক্রির জন্য চারটি দেশেরই সর্বসম্মত অনুমোদন প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটো’তে দ্বিতীয় সর্বাধিক সেনাবাহিনী নিয়ে গর্ব করলেও বেশ কয়েকবার অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে আঙ্কারা। যার দরুন বিদেশি নির্ভরতা কমাতে দেশীয় প্রযুক্তিতে অস্ত্র তৈরির উপর জোর দিয়েছে দেশটি। বর্তমানে তুরস্ক নিজেদের তৈরি ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও নৌযানসহ নানা ধরনের সামরিক সরঞ্জাম ও অস্ত্র নিজস্বভাবে তৈরি করছে।
সূত্র: ডেইলি সাবাহ