তুরস্ক ও আজারবাইজানের ২৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে শিক্ষাগত অংশীদারিত্ব বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে ভারতের প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং এর প্রথমে অবস্থান করা চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়।
এই সিদ্ধান্তের পেছনে তুরস্ক ও আজারবাইজান সরকারের পাকিস্তানের প্রতি স্পষ্ট সমর্থন এবং ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে তাদের অবস্থানকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর এবং রাজ্যসভার সাংসদ সতনাম সিং সান্ধু এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি এই বিদেশি সমর্থনকে “অগ্রহণযোগ্য” বলে অভিহিত করেছেন।
সান্ধু বলেন, “আমরা তুরস্ক ও আজারবাইজানের সঙ্গে সমস্ত শিক্ষাগত সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি ভারতীয় ছাত্রদের এই দেশগুলিতে উচ্চশিক্ষার জন্য না গিয়ে ভারত-বান্ধব দেশের প্রতিষ্ঠানগুলি বেছে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”
বাতিল হওয়া এই অংশীদারিত্বের মধ্যে ছিল ২৩টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ), যার আওতায় ছাত্র বিনিময়, যৌথ গবেষণা কর্মসূচি এবং শিক্ষকদের মধ্যে সহযোগিতার মতো কার্যক্রম পরিচালিত হতো। তুরস্ক ও আজারবাইজান আন্তর্জাতিক মঞ্চে ধারাবাহিকভাবে পাকিস্তানকে সমর্থন করে আসছে। সম্প্রতি পাহালগাম সন্ত্রাসী হামলার পরও আজারবাইজান ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার বিষয়ে পাকিস্তানের অবস্থানের প্রতিধ্বনি করেছে, এবং তুরস্ক এই ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্তের জন্য ইসলামাবাদের আহ্বানকে সমর্থন করেছে। এই পটভূমিতে চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পদক্ষেপ উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক ও শিক্ষাগত প্রভাব ফেলতে পারে।
সূত্র: দি ট্রিবিউন