প্রশান্ত মহাসাগরের গুয়াম ঘাঁটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে শক্তিশালী ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বোমা বহনে সক্ষম আমেরিকার অত্যাধুনিক বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমান। আমেরিকা ইরানের ভূগর্ভস্থ ফোরদো পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলার প্রস্তুতি হিসেবে এই যুদ্ধবিমান গুয়ামে সরিয়ে নিচ্ছে কি না, তা নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছে।
শনিবার (২১ জুন) গুয়ামের দিকে মার্কিন এই বিমানের অগ্রসর হওয়ার তথ্য দেশটির সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ বলছে, মিসৌরির জনসন কাউন্টিতে অবস্থিত হোয়াইটম্যান বিমান ঘাঁটি থেকে দেশটির বিমান বাহিনীর অন্তত ২ থেকে ৪টি বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমান ও ৬টি রিফুয়েলিং বিমান গুয়ামের নৌ ঘাঁটির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।
তবে এসব বিমান ভারত মহাসাগরের দিয়েগো গার্সিয়া দ্বীপের দিকে অগ্রসর হবে কি না, সেটি এখনও পরিষ্কার নয়। ব্রিটিশ মালিকানাধীন এই দ্বীপটি আমেরিকা-ব্রিটেনের যৌথ সামরিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হয়; যা ইরান থেকে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক অভিযানের জন্য আদর্শ অবস্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয় ভারত মহাসাগরীয় দিয়েগো গার্সিয়া দ্বীপকে। গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্র সেখানে ছয়টি বি-২ বোমারু মোতায়েন করেছিল। ইয়েমেনে এক মাসব্যাপী বিমান হামলা চালানোর কাজে ব্যবহৃত হয় এসব বিমান। সম্প্রতি সেখানে বি-২ এর জায়গায় অপেক্ষাকৃত পুরোনো বি-৫২ বিমান মোতায়েন করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর বহরে থাকা বি-২ স্টিলথ যুদ্ধবিমান বিশ্বে একমাত্র বিমান; যা ভারী বাঙ্কার বাস্টার বোমা বহন ও ইরানের ফোরদোর মতো গভীর পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসে হামলা চালাতে পারে। ইরানের ফোরদো শহর কোম নগরী থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার উত্তরে একটি পাহাড়ের নিচে অবস্থিত।
নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি দিয়েগো গার্সিয়া থেকে হামলা চালাতে চায়, তাহলে ব্রিটেনের অনুমতির প্রয়োজন হবে। তবে গুয়াম ঘাঁটি থেকে বিমান ছাড়লে অনুমতির দরকার পড়বে না। কারণ এই ঘাঁটি যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ড এবং ফোরদো থেকে প্রায় ১২ হাজার ৮০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।