শুক্রবার | ২৭ জুন | ২০২৫

নির্দেশ পেয়েই ত্রাণের জন্য আসা ফিলিস্তিনিদের গুলি করেছি: ইসরাইলি সেনা

spot_imgspot_img

ত্রাণ নিতে আসা ক্ষুধার্ত, ‍নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো বলে স্বীকার করেছেন ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলি সেনা এবং কর্মকর্তা।

শুক্রবার (২৭ জুন) ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজেরের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা।

হারেৎজের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেয়েই তাদের হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসরাইলি সেনারা।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, সামরিক প্রসিকিউটরের কার্যালয় সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ কমান্ডকে ত্রাণ শিবিরগুলোতে সন্দেহভাজন যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু করার দাবি জানিয়েছে।

ইসরাইলি সেনাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, লোকজনের ভিড় ছত্রভঙ্গ করতে তাদের গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেনারা সাহায্যপ্রার্থীদের ভিড়ের দিকে গুলি চালিয়েছিল যাতে ত্রাণপ্রার্থীরা সেনাবাহিনীর কাছে না আসতে পারে। ভিড় ছত্রভঙ্গ করতে সাধারণত টিয়ারশেল বা রাবার বুলেটের মতো প্রাণঘাতি নয় এমন অস্ত্র ব্যবহার স্বীকৃত। কিন্তু ইসরাইলি সেনাবাহিনী তা না করে প্রাণঘাতি অস্ত্র ব্যবহার করেছে।

এক ইসরাইলি সেনা বলেন, এটি একটি হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্র। আমি যেখানে ছিলাম, যেখানে প্রতিদিন এক থেকে পাঁচজন গুলিতে মারা যেতো।

ওই সেনা আরও বলেন, তারা ত্রাণপ্রার্থীদের ওপর এমনভাবে গুলি চালায়, যেন তারা আক্রমণকারী বাহিনী। ইসরাইলি বাহিনী ভিড় নিয়ন্ত্রণ ডিভাইস ব্যবহার করে না, তারা টিয়ার গ্যাস ছোড়ে না, যা মনে চায় তারা তাই ছোড়ে। ভারী মেশিনগান, গ্রেনেড লঞ্চার, মর্টার সবকিছু।

উল্লেখ্য, প্রায় একমাস আগে আমেরিকা ও ইসরাইল সমর্থিত বিতর্কিত ত্রাণ শিবির গাজ্জা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) খোলা হয়। ইসরাইলি সেনাবাহিনী এবং জিএইচএফ ত্রাণ সরবরাহ কাজ পরিচালনা করে। ত্রাণ নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের হত্যা করার ঘটনা ইসরাইলি সেনাবাহিনী এবং জিএইচএফ হয় অস্বীকার করেছে অথবা এসব ঘটনা খাটো দেখানোর চেষ্টা করেছে। গত একমাসে জিএইচএফ ত্রাণ শিবিরে কমপক্ষে ৫৪৯ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে।

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img