সংস্কার ও পুনর্গঠনের এই সময়ে বাংলাদেশ তার বিপুল সম্ভাবনা অর্জন করতে সক্ষম হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত জামার্নির নতুন রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজ।
গত ৭ আগস্ট বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের কাছে পরিচয়পত্র পেশের মাধ্যমে তিনি এই দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এ সময় তার স্ত্রী ইভানা লোটজও সঙ্গে ছিলেন।
সোমবার (১১ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় জার্মান দূতাবাস।
রাষ্ট্রদূত বলেন, জার্মানি ও বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে। এই পথ আমরা একসঙ্গে চলতে থাকব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের আতিথেয়তার মূলে রয়েছে আস্থা, উদারতা এবং অন্যের প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার। বাংলাদেশের মানুষের মনোবল সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক।
পরিচয়পত্র পেশের পর রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ও রাষ্ট্রদূত লোটজ জার্মানি ও বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার, নারী ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং পারস্পরিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে সহযোগিতা জোরদারের বিষয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
তিন দশকেরও বেশি সময়ের বহুমুখী রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও বহুপাক্ষিক দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা নিয়ে আসা ড. লোটজ একজন অভিজ্ঞ জার্মান কূটনীতিক। তিনি পাকিস্তানের করাচিতে কনসাল জেনারেল, দক্ষিণ আফ্রিকা, কলম্বিয়া, সার্বিয়া ও আফগানিস্তানে উপ-মিশনপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তুরস্ক, কসোভো, মেক্সিকো, মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে জ্যেষ্ঠ পদে কাজ করেছেন।
এ ছাড়া তিনি জার্মান ফেডারেল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (বার্লিন), ভিয়েনায় জার্মান ওএসসিই মিশন এবং প্রিস্টিনায় আন্তর্জাতিক সিভিলিয়ান অফিসে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেনঅ সেখানে মানবাধিকার, অভিবাসন, অর্থনৈতিক নীতি ও সংঘাত সমাধান নিয়ে কাজ করেছেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত লোটজ ২০০৬ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে মাস্টার্স ডিগ্রি এবং ১৯৯৮ সালে ফ্রাইই ইউনিভার্সিট্যাট বার্লিন থেকে আইনে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তাছাড়া তিনি ইংরেজি, ফরাসি, স্প্যানিশ ও সার্বিয়ান ভাষায়ও কথা বলতে পারেন।
সূত্র: ইউএনবি









