শুক্রবার | ৩১ অক্টোবর | ২০২৫

গাজ্জায় ইসরাইলি গণহত্যার বিরুদ্ধে দিল্লিতে বিক্ষোভ

গাজ্জায় ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের গণহত্যার বিরুদ্ধে ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বিশাল বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী রাজ্য থেকে শত শত নাগরিক, শিক্ষার্থী, সিভিল সোসাইটি কর্মী এবং রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতারা বিক্ষোভে অংশ নেন।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠত হয়।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, অংশগ্রহণকারীদের বৈচিত্র্যময় উপস্থিতি একটি শক্তিশালী বার্তা প্রদান করে যে, ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন ধর্ম বা আদর্শের সীমারেখা অতিক্রম করে, শান্তি ও ন্যায়ের প্রতি উদ্বিগ্ন মানুষদের একত্রিত করে।

বিক্ষোভে বক্তারা ইসরাইলের কার্যকলাপকে কঠোরভাবে নিন্দা জানান এবং সেটিকে বিরূপ আগ্রাসন ও চলমান গণহত্যা হিসেবে বর্ণনা করেন। বিক্ষোভকারীরা সতর্ক করেছেন যে, গাজ্জার অবকাঠামোর প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংস এবং ব্যাপক ক্ষুধার সম্মিলিত প্রভাব, অবরোধ যত দ্রুত সম্ভব তুলে না নেওয়া হলে, সম্পূর্ণ ক্ষুধা মৃত্যুর দিকে নিয়ে যেতে পারে।

বিক্ষোভে পূর্বে ভারতীয় মুসলিম সংস্থা ও সিভিল সোসাইটি গ্রুপের যৌথ বিবৃতিতে ৬টি দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলি হলো:

১. আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দ্বারা অবিলম্বে এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা।
২. জরুরি মানবিক করিডর খোলা, যাতে খাদ্য, পানি, জ্বালানী ও চিকিৎসা সরবরাহ গাজ্জার ভেতর যেতে পারে।
৩. ভারতীয় সরকার এবং বিশ্ব শক্তিকে ইসরাইলের কার্যকলাপ নিন্দা জানাতে এবং তার সঙ্গে সকল সামরিক ও কৌশলগত সহযোগিতা বন্ধ করার আহ্বান।
৪. ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর জন্য আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা সমর্থন এবং জাতিসংঘের সাধারণ সভার আহ্বান অনুযায়ী ইসরাইলের অধিগ্রহণ শেষ করা ও একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।
৫. ভারতের ঐতিহাসিকভাবে নিপীড়িত জনগণের প্রতি সমর্থনের ঐতিহ্য পুনরায় প্রতিষ্ঠা করা এবং অধিগ্রহণ শেষ করার জন্য আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টাকে সমর্থন করা।
৬. ভারতীয় সিভিল সোসাইটিকে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচারণা চালাতে, ইসরাইলি পণ্য বর্জন করতে এবং শান্তিপূর্ণ সংহতি কার্যক্রমে যুক্ত হতে আহ্বান।

বিক্ষোভে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলিকে ইসরাইল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর কূটনৈতিক চাপ বাড়ানোর জন্য একটি শক্তিশালী আহ্বানও করা হয়। অংশগ্রহণকারীরা জোর দিয়ে বলেন, গণহত্যার মুখে নীরব থাকা গ্রহণযোগ্য নয় এবং সমাজের সকল স্তরের মানুষকে তাদের নৈতিক দায়িত্ব অনুযায়ী কাজ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

বিক্ষোভে ব্ক্তব্য রাখেন, জামায়াত ইসলামী হিন্দের সভাপতি সৈয়দ সাদাতুল্লাহ হুসাইনী, জামিয়াত উলমা-ই-হিন্দের সাধারণ সম্পাদক মৌলানা হাকিমউদ্দিন কাসমি, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর অপূর্বানন্দ, প্রফেসর ভি কে ত্রিপাঠী, সিনিয়র আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং ও এবং বিভিন্ন শিক্ষার্থী ও সামাজিক সংস্থার প্রতিনিধিরা।

সূত্র: মুসলিম মিরর

spot_img

সর্বশেষ

spot_img

এই বিভাগের

spot_img