গাজ্জায় চলমান দখলদার ইসরাইলি আগ্রাসনের মধ্যে প্রতিরোধের প্রতীক, হামাসের সামরিক শাখা আল কাস্সামের মুখপাত্র আবু উবাইদার শাহাদাতের দাবি করেছে ইসরাইল। শনিবার গাজ্জা শহরে চালানো এক বিমান হামলার পর রবিবার তারা এ ঘোষণা দেয়। তবে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অবস্থান জানায়নি।
রবিবার ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরাইল কাতস ঘোষণা দেন, তারা গাজ্জায় আবু উবাইদাকে নির্মূল করেছে। এই ঘোষণার কিছুক্ষণ পর ইসরাইলি সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করে যে, তারা আবু উবাইদাকে লক্ষ্যবস্তু করেছে।
ইসরাইলি সেনা তাদের বিবৃতিতে জানায়, এই অভিযান পূর্ববর্তী গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়েছে।
এদিন এর আগে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কাছে ওয়ান্টেড ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, “আমরা আবু উবাইদাকে লক্ষ্য করেছি, এখন ফলাফলের অপেক্ষায় আছি।”
এছাড়া ইসরাইলি সেনা রেডিও জানিয়েছে, গাজ্জায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দুই দফা তারা আবু উবাইদাকে হত্যার চেষ্টা চালায়, তবে সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
আবু উবাইদা ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের এক কিংবদন্তি নাম। তিনি প্রথম সবার নজরে আসেন ২০০৬ সালের ২৫ জুন, যখন তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের পরিচালিত ঐতিহাসিক “আল-ওহম আল-মুতাবাদ্দিদ” (মায়ার ভাঙন) অভিযানের ঘোষণা দেন।
সে অভিযানে দুই ইসরাইলি সেনা নিহত হয় এবং কুখ্যাত সৈনিক গিলাদ শালিত বন্দি হয়। এই ঘটনা তাকে প্রতিরোধের অন্যতম প্রধান কণ্ঠে পরিণত করে।
ফিলিস্তিনের জনগণের চোখে আবু উবাইদা ছিলেন শুধু একজন মুখপাত্র নন, বরং ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের প্রতিরোধের প্রতীক। তিনি শহীদ হওয়ার আগ পর্যন্ত দখলদার বাহিনীর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ফিলিস্তিনিদের সাহস ও আশার কণ্ঠস্বর হয়ে ছিলেন।
সূত্র: আল জাজিরা









