ছাত্রদল নেতা কর্তৃক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের ‘যৌনকর্মী’ বলে কটূক্তি, সারাদেশে নারী হেনস্তা এবং ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উত্তরা বিএনএসে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম সায়েমের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ।
তিনিদ বলেন, একটা ছাত্রসংগঠনের বিরুদ্ধে কেন আমাদের বারবার রাজপথে নামতে হচ্ছে? কারণ তারা জুলাইয়ের স্পিরিট ভুলে গিয়ে অব্যাহতভাবে মিথ্যাচার, নারী হেনস্তা ও সাইবার বুলিং চালিয়ে যাচ্ছে।
আজিজুর রহমান আজাদ বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কারণে গত এক মাসে ৯১ জন নারী শিক্ষার্থী সময়মতো হলে প্রবেশ করতে না পারায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের সতর্ক করে নোটিশ দিয়েছে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান মিলন নারী শিক্ষার্থীদের ‘বিনা পারিশ্রমিকের যৌনকর্মী’ বলে কটূক্তি করেছে। এ লজ্জা শুধু সেই শিক্ষার্থী বোনদের বা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়, এ লজ্জা পুরো জাতির।
ছাত্রদল সম্পর্কে তিনি বলেন, ছাত্রদল ইতোমধ্যে নারী বিদ্বেষী দলে পরিণত হয়েছে। তাদের কেন্দ্রীয় নেতা-নেত্রীরা অশ্রাব্য ভাষায় নারীদের হেনস্তা করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়ে আরও বলেন, ২০০২ সালে ঢাবির শামসুন নাহার হলে শত শত নারী শিক্ষার্থীকে শারীরিক নির্যাতন করেছিল ছাত্রদল। রোকেয়া হলে নির্যাতনের পাশাপাশি ধর্ষণ করেছিল। বুয়েটের মেধাবী নারী শিক্ষার্থী সাবেকুন নাহার সনিকে হত্যা করেছিল। নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ধর্ষণ, চাঁদা না দেওয়ায় স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ; এসব জঘন্য অপরাধে জড়িত ছাত্রদল। ঢাকায় কয়েকজন নারী নিয়ে কর্মসূচি পালন করে এসব ধর্ষণ ও নারী হেনস্তার ঘটনা ঢেকে রাখা যাবে না।
ছাত্রদলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক বলেন, এসব অপকর্ম পরিহার করে আসুন শিক্ষার্থীবান্ধব রাজনীতি করি। আমরা ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে আমাদের বন্ধু হিসেবে আমাদের পাশে চাই। আমরাও আপনাদের শিক্ষার্থীবান্ধব কর্মসূচিতে উত্তম বন্ধু হিসেবে থাকতে চাই।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক মু’তাসিম বিল্লাহ শাহেদী, ছাত্র অধিকার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, তথ্য সম্পাদক আবু সায়েদ সুমন প্রমুখ।