ইরাক গণহত্যার ভিত্তি স্থাপক ও অন্যতম খলনায়ক সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের হাতে গাজ্জার ক্ষমতা তুলে দিতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্প।
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে আসে।
প্রতিবেদনে ইসরাইলী ও পশ্চিমা মিডিয়ার বরাতে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত ২৩ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে আরব ও মুসলিম বিশ্বের নেতাদের কাছে গাজ্জা নিয়ে তার ২১ দফা পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। যেখানে গাজ্জার অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান হিসেবে তিনি ইরাক গণহত্যার ভিত্তি স্থাপক সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের নাম প্রস্তাব করেন।
কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়, আরব ও মুসলিম নেতাদের সাথে বৈঠকে গাজ্জায় ব্লেয়ারের ভূমিকা কী হবে তা স্পষ্ট না করা হলেও, তাকে কেন্দ্র করে শাসনক্ষমতার রূপরেখা স্পষ্ট করা হয়েছে।
ট্রাম্পের ২১ দফায় এও উল্লেখ রয়েছে যে,
•গাজ্জায় হামাসের হাতে যে ৪৮ জন এখনো বন্দী আছেন, তাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। বিনিময়ে সেখানে মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। যুদ্ধ স্থগিত রাখা হবে। ইসরাইলের সামরিক কারাগার থেকে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে।
•হামাসের নিরস্ত্রীকরণ নিশ্চিত করতে হবে।সহিংসতা ত্যাগকারী হামাস যোদ্ধাদের সাধারণ ক্ষমা প্রদান করা হবে। গাজ্জা ত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানানোর সুযোগ দেওয়া হবে।
• কোনো ফিলিস্তিনিকে তাদের ভূখণ্ড বা অঞ্চল ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হবে না। কেউ চায়লে তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে দেওয়া হবে। স্বেচ্ছায় অন্যত্র চলে যেতে চায়লে তারও সুযোগ দেওয়া হবে।
• ভবিষ্যতে একটি সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের দরজা খোলা রাখা হবে।
সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, টনি ব্লেয়ার হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি ইরাকের কাছে প্রাণঘাতী মারাত্মক রাসায়নিক অস্ত্র থাকার দাবী তুলে দেশটিতে গণহত্যা শুরুর ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশের ইরাক আক্রমণ পরিকল্পনায় দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছিলেন। ব্রিটিশ-মার্কিন যৌথ বাহিনী গড়ে তুলে তেল নির্ভর সুন্দর ও সমৃদ্ধ মুসলিম দেশটিকে তছনছ করে দিয়েছিলেন। আধুনিক ইতিহাসের নৃশংসতম ও অন্যতম ভয়ংকর গণহত্যার নজির সৃষ্টি করেছিলেন।