মঙ্গলবার | ৩০ সেপ্টেম্বর | ২০২৫

ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে প্রতারণা বলছে গাজ্জাবাসী

ফিলিস্তিনের গাজ্জা উপত্যকায় ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র দখলদার ইসরাইল এবং ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধে ২০ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন চলমান এই গণহত্যার প্রধান মদদদাতা রাষ্ট্র আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তার এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে প্রহসন হিসেবে উল্লেখ করেছেন গাজ্জার সাধারণ মানুষ। তারা বলেছেন, এই প্রস্তাবে যুদ্ধ বন্ধের কোনো নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি। প্রস্তাবটি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যেন হামাস এটি প্রত্যাখ্যান করে। খবর এএফপির।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক শেষে এ প্রস্তাব উত্থাপন করেন তিনি। এসময় নেতানিয়াহু যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের প্রস্তাব মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেন।

প্রস্তাব অনুযায়ী, হামাস যদি এতে রাজি হয় তাহলে তাদের রাজি হওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জীবিত ও মৃত সব ইসরাইলি বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। এরপর গাজ্জার নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিয়ে তাদের অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। বন্দি মুক্তির পর গাজ্জা থেকে ধীরে ধীরে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেবে ইসরাইল। তবে কতদিনে প্রত্যাহার করবে সেটি স্পষ্ট নয়।

ইব্রাহিম জোদেহ নামে ৩৯ বছর বয়সী গাজ্জার এক ব্যক্তি বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘এটি স্পষ্ট এ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি বাস্তবসম্মত নয়। এটি এমন শর্তে সাজানো হয়েছে যে, আমেরিকা ও ইসরাইল জানে হামাস এটি কখনো মানবে না। আমাদের জন্য এটির অর্থ হলো, যুদ্ধ ও আমাদের দুর্ভোগ চলবে।

আবু মাজিন নাসার নামে ৫২ বছর বয়সী এক ব্যক্তি জানান, হামাসকে ফাঁদে ফেলার জন্য এ প্রস্তাব সাজানো হয়েছে। যেন তারা সব বন্দিদের ছেড়ে দেয়। কিন্তু এরপর ইসরাইল আর যুদ্ধ বন্ধ করবে না।

তিনি বলেন, ‘এটি হলো ছলচাতুরি। যুদ্ধ বন্ধের নিশ্চয়তা ছাড়া সব বন্দিদের ছেড়ে দেওয়ার মানে কি? আমরা সাধারণ মানুষ এ প্রহসন মানব না। হামাস যুদ্ধবিরতির চুক্তি নিয়ে যে সিদ্ধান্তই এখন নিক না কেন। ইতোমধ্যেই অনেক দেরি হয়ে গেছে।’

spot_img
spot_img

এই বিভাগের

spot_img