পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলামির একটি প্রতিনিধিদল আফগানিস্তান সফর করেছেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলামির ডেপুটি আমির প্রফেসর মুহাম্মদ ইব্রাহিম খান। প্রতিনিধি দলটি কাবুলে বৈঠক করেছেন আফগানিস্তানের সাবেক ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান শরণার্থী ও প্রত্যাবাসনবিষয়ক মন্ত্রী মাওলানা আবদুল কাবির-এর সঙ্গে।
বৈঠকে মাওলানা আবদুল কাবির বলেন, “কাবুল ও ইসলামাবাদকে শান্তি ও সহযোগিতার ভিত্তিতে সহাবস্থান করতে হবে।” তিনি পাকিস্তানের জনগণের দীর্ঘদিনের সহায়তা ও সমর্থনের প্রশংসা করেন এবং বলেন, “ইমারাতে ইসলামিয়ার সহযোগিতার পরিধি বিস্তৃত, আর সমস্যা সমাধানে আমরা সর্বদা সংলাপ ও কূটনীতিকেই অগ্রাধিকার দিই।”
তিনি আরও বলেন, “আফগান জনগণের জিহাদের বরকতে আজ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা এসেছে। তাই বিদ্যমান সমস্যাগুলোর সমাধান আলোচনার টেবিলেই হওয়া উচিত।”
পাকিস্তানে আফগান শরণার্থীদের প্রতি অমানবিক আচরণ ও সামরিক পদক্ষেপের প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করে মাওলানা আবদুল কাবির জোর দিয়ে বলেন, “এ ধরনের আচরণ আর কোনোভাবেই পুনরাবৃত্তি করা যাবে না।”
প্রতিনিধিদল বৈঠকে ইমারাতে ইসলামিয়ার অধীনে প্রতিষ্ঠিত নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার প্রশংসা করে। তারা উম্মাহর ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, কাবুল ও ইসলামাবাদের বিদ্যমান বাধা-সমস্যা সমাধানে কথোপকথন ও পারস্পরিক বোঝাপড়াকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।
একই সফরে পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলামির প্রতিনিধি দল আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাওলানা আমীর খান মুত্তাকীর সঙ্গেও বৈঠক করেন। এই বৈঠকে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়।
পাক জামায়াতে ইসলামির প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন জামায়াতে ইসলামি বেলুচিস্তানের ডেপুটি আমির ডা. আতাউর রহমান, জামায়াতে ইসলামি খাইবার পাখতুনখাওয়া–উত্তর-এর আমির ইনায়াতুল্লাহ খান, জামায়াতে ইসলামি খাইবার পাখতুনখাওয়া–কেন্দ্র-এর আমির আবদুল ওয়াসি, এবং জামায়াতে ইসলামির শীর্ষ নেতা ডা. মুহাম্মদ ইকবাল খলিল।
সূত্র : আরিয়ানা নিউজ, টোলোনিউজ ও ডন