বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমরা নিশ্চিতভাবে জিতব। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এককভাবে সরকার গঠনের অবস্থানে আমরা আছি। আমি মনে করি, আমার দেশে ফেরার সময় ঘনিয়ে এসেছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান জানান, তিনি শিগগির দেশে ফিরবেন এবং আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেবেন। কর্তৃত্ববাদী শাসক শেখ হাসিনার পতনের পর বিএনপি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ের পথে রয়েছে বলেও ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার পতনের পর বিএনপি দেশ পরিচালনার জন্য প্রস্তুত। দেশে একটি ‘মুক্ত ও গ্রহণযোগ্য’ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পূর্ণতা পাবে।
তারেক রহমান ড. ইউনূসের বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করে বলেন, আওয়ামী লীগ একটি ‘ফ্যাসিস্ট দল’ এবং বিএনপি অন্যান্য রাজনৈতিক দলসহ, বিশেষ করে গত বছরের ছাত্র আন্দোলন থেকে গঠিত নতুন রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সঙ্গে মিলে সরকার গঠনে প্রস্তুত।
এনসিপি প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, আমরা তাদের রাজনীতিতে স্বাগত জানাব। তারা তরুণ, ভবিষ্যৎ তাদেরই।
দলীয় অতীত নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তারেক রহমান স্বীকার করেন, যেকোনো সরকারেরই কিছু ত্রুটি থাকতে পারে, তবে তিনি বিএনপির দুর্নীতি দমনের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, ‘বিএনপিই বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গঠন করেছিল।
তারেক রহমান আরো বলেন, বাংলাদেশি গণমাধ্যমে ছড়ানো ভুয়া বর্ণনাই ওই মার্কিন তারবার্তার ভিত্তি তৈরি করেছিল এবং তার বিরুদ্ধে করা সব মামলা এখন প্রত্যাহার হয়েছে।
অন্যদিকে ছাত্রনেতৃত্বাধীন এনসিপির নেতা নাহিদ ইসলাম উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, নির্বাচন সম্পূর্ণ মুক্ত ও নিরপেক্ষ না-ও হতে পারে। কারণ, বিএনপি এরই মধ্যে সমস্ত রাজনৈতিক ক্ষেত্র দখল করে ফেলেছে। বাংলাদেশের নির্বাচনী সংস্কৃতি আমাদের জন্য একেবারেই সুখকর নয়।