ইস্তাম্বুল আলোচনায় পাকিস্তানের কাছে ২টি খসড়া প্রস্তাব রেখেছে ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) তলো নিউজের এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধবিরতি ও সার্বভৌমত্ব ইস্যুতে ইস্তাম্বুলে বৈঠকে বসেছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। আজ দ্বিতীয় দিনের মতো আলোচনা চলমান। চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে ২য় দিনের আলোচনায় পাকিস্তানের কাছে ২টি খসড়া প্রস্তাব রেখেছে ইমারাত সরকারের প্রতিনিধিরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায় প্রস্তাবনাগুলো হলো,
১. আফগানিস্তানের আকাশ ও স্থল সীমা লঙ্ঘন করা যাবে না।
২. পাকিস্তানকে অবশ্যই যেকোনো দেশ, দল ও গোষ্ঠীকে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তার ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ওয়াহিদ ফকিরি এই প্রসঙ্গে বলেন, যদি তুরস্কে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনার ফলে একটি সাধারণ চুক্তি হয় এবং দুই দেশই ডুরান্ড লাইনে উত্তেজনা হ্রাস করতে ও অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়, আমার মতে এটি কয়েক মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
সূত্র অনুসারে, ইমারাত সরকারের খসড়া প্রস্তাবটি মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে ইতিমধ্যে পাকিস্তানি প্রতিনিধি দলের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে এবং পাকিস্তানও তাদের দ্বিতীয় খসড়া জমা দিয়েছে। পাকিস্তানের গণমাধ্যমে ইসলামাবাদের খসড়া প্রস্তাবকে আফগান ভূখণ্ড থেকে সশস্ত্র গোষ্ঠীর অনুপ্রবেশ এবং পরিকল্পিত আক্রমণ মোকাবেলার উপায় হিসাবে বর্ণনা করেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক আসাদ আতাল বলেন, পাকিস্তানের দাবীগুলো ভিত্তিহীন। আফগানিস্তান কারো জন্য হুমকি নয়। বিশ্বের কোনো দেশের প্রতিও তাদের কোনো খারাপ উদ্দেশ্য নেই।
সূত্রটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণের জন্য একটি চার-পক্ষীয় চ্যানেল প্রতিষ্ঠার প্রস্তুতির কথাও জানিয়েছে, যে চ্যানেলটি লঙ্ঘনের মূল্যায়ন করবে এবং পক্ষগুলোর মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানকে সহজতর করবে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ বিলাল ওমর বলেন, বিরোধ নিষ্পত্তি ও চুক্তির বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য এবং উভয় দেশের আচরণ ও কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণের জন্য একটি কমিটি গঠন করা উচিত।









