বৃহস্পতিবার | ৩০ অক্টোবর | ২০২৫

নভেম্বরেই গণভোটের দাবিতে নির্বাচন কমিশনে জামায়াতসহ ৮ দলের স্মারকলিপি

আগামী নভেম্বরেই গণভোটের দাবিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ আটটি রাজনৈতিক দল।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বেলা ১১টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের সামনে জড়ো হতে থাকে দলগুলোর নেতাকর্মীরা৷ পরে বেলা ১২টায় দলগুলোর শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে প্রতিনিধিদল একে একে স্মারকলিপি দিতে আলাদা আলাদাভাবে কমিশনের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।

এ সময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে দলগুলো। নেতারা জানান—জুলাই সনদের আইনিভিত্তি দিতে নভেম্বরেই গণভোট না হলে অভ্যুত্থান বিনষ্ট হবার ক্ষেত্র তৈরি হবে৷

এদিকে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নসহ পাঁচ দফা দাবিতে চলমান আন্দোলন আরো বেগবান করতে চায় জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা আট দল। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন দাবি আদায়ে নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দেয় দলগুলো। এছাড়া আগামী ৩ নভেম্বর শীর্ষ নেতাদের বৈঠক শেষে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

এর আগে বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আন্দোলনরত দলগুলোর পক্ষ থেকে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ।

এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস একই সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনেরও প্রধান। তাই বর্তমানে রাজনীতিতে যে মেঘ দেখা দিয়েছে, তা দূর করতে তাকেই দায়িত্ব নিতে হবে।

এই জামায়াত নেতা বলেন, অবিলম্বে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি এবং নভেম্বরে গণভোটের ঘোষণা দিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি ও মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান এবং ডেভেলপমেন্ট পার্টির মহাসচিব নিজামুল হক নাঈম প্রমুখ।

পাঁচ দফা দাবির মধ্যে আছে- আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কাযর্ক্রম নিষিদ্ধ করা।

spot_img

সর্বশেষ

spot_img

এই বিভাগের

spot_img