নিষ্ফল আলোচনার পর তুরস্ক ও কাতারের অনুরোধে পুনরায় আলোচনায় বসতে যাচ্ছে পাকিস্তান ও ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ইস্তাম্বুলে আলোচনায় পুনরায় শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বুধবার রাতে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যকার দ্বিতীয় বারের আলোচনা নিষ্ফল অবস্থায় শেষ হয়।
আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় দু’পক্ষই যখন ইস্তাম্বুল ত্যাগ করছিলো মধ্যস্থতার ভূমিকায় থাকা তুরস্ক ও কাতার তাদের পুনরায় আলোচনায় বসার অনুরোধ জানায় এবং দু’পক্ষই এতে নিজেদের সম্মতি জানায়।
সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, গত শনিবার ইস্তাম্বুলে দ্বিতীয় দফার পাক-আফগান আলোচনা শুরু হয়, যা বুধবার পর্যন্ত চলমান থাকে।
ইসলামাবাদ কাবুলকে তেহরিকে তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য প্রস্তাব পেশ করে। অপরদিকে কাবুলও ইসলামাবাদকে ২টি প্রস্তাব পেশ করে, যেখানে দাবী রাখা হয় যে, ১. পাকিস্তান কোনোভাবেই আফগানিস্তানের আকাশ ও স্থল সীমা লঙ্ঘন করতে পারবে না।এবং ২. পাকিস্তানকে অবশ্যই যেকোনো দেশ, দল ও গোষ্ঠীকে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তার ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
কিন্তু দু’পক্ষই এসব প্রধান প্রধান দাবীর বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছতে পারেনি, যে কারণে নিষ্ফল অবস্থায় আলোচনা শেষ হয়।
অপরদিকে আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ আফগানিস্তানকে পুনরায় হুমকি দিয়ে বসেন। বুধবার এক এক্স বার্তায় তিনি লিখেন, তালেবান সরকারের যুদ্ধবাজ, যারা এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা অব্যাহত রাখার স্বার্থে ব্যবহৃত হচ্ছে, তাদের জানা উচিত যে তারা আমাদের সংকল্প এবং সাহসকে ভুল বুঝেছে।
দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার সশস্ত্র গোষ্ঠী নিয়ে গবেষণাকারী সুইডেন-ভিত্তিক নিরাপত্তা গবেষক আব্দুল সাঈদ বলেন, আসিফের মন্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে পাকিস্তান আফগানিস্তানে বিমান হামলা পুনরায় শুরু করতে প্রস্তুত। তবে মধ্যস্থতাকারীদের অনুরোধে দু’পক্ষের পুনরায় আলোচনায় ফিরে আসার সিদ্ধান্ত ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, সম্ভাব্য পরিবর্তন আসন্ন।
সূত্র: আল জাজিরা






