হিজবুল্লাহর মহাসচিব শেখ নাইম কাসেম বলেছেন, আমেরিকা দাবি করে যে, তারা লেবাননের সমস্যার সমাধান করতে চায়, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এই দেশটি নিরপেক্ষ ও নির্ভেজাল মধ্যস্থতাকারী নয় বরং তারা ইহুদিবাদী ইসরাইলি আগ্রাসন ও দখলদারির অংশীদার।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) এক বক্তব্যে হিজবুল্লাহ মহাসচিব বলেন, লেবাননের প্রেসিডেন্ট ইসরাইলি আগ্রাসন মোকাবিলার জন্য সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দেওয়ার যে কথা বলেছেন, তা দায়িত্বশীল ও ভরসাযোগ্য অবস্থান। ঐক্যের মাধ্যমে এই অবস্থানকে শক্তিশালী করা উচিৎ এবং শত্রুকে মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার জন্য একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা ঐক্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমাদের ভূমি ফিরিয়ে আনব এবং প্রতিরোধের লক্ষ্য হচ্ছে মুক্ত করা, কিন্তু শত্রুর লক্ষ্য হচ্ছে দখলবাজি এবং এ বিষয়ে লেবাননের সবারই দায়িত্ব রয়েছে। আমরা কারো স্থান নিতে চাই না। যারা আমাদের বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযোগ তুলছে তাদের উচিৎ এই প্রবণতা বন্ধ করা।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইসরাইলি রেজিমকে চুক্তি মেনে চলতে বাধ্য করার জন্য সব পরিস্থিতি ও চাপ সৃষ্টি করা জরুরি।
শেখ নাইম কাসেম আরো বলেন, যদি শত্রুরা তাদের উপশহরগুলোর নিরাপত্তা চায়, সেটাতো চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু যদি তারা লেবাননের ক্ষমতার উপাদানগুলো ছিনিয়ে নিতে চায়, তাহলে সেটা অবশ্যই বৃহৎ ইসরাইল গঠনের পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য হবে এবং আমরা তা মেনে নেব না।
লেবাননের শক্তিকে দৃঢ় ও শক্তিশালী ঢাল হিসেবে উল্লেখ করে হিজবুল্লাহ মহাসচিব বলেন, প্রতিরোধই লেবাননের শক্তি এবং এটি রক্ষা করতে হবে।
যারা বারবার ইসরাইলি যুক্তি পুনরাবৃত্তি করে নানা অজুহাতে সেটিকে ন্যায্যতা দেওয়ার চেষ্টা করছে তাদের সতর্ক করে তিনি বলেন, এর অর্থ হচ্ছে শত্রুকে প্রশ্রয় দেওয়া। এ ধরণের অজুহাত বাদ দিয়ে আমাদের উচিৎ ঐক্যবদ্ধ থাকা। আমরা যত বেশি ঐক্যবদ্ধ হব, তত দ্রুত আমরা লেবানের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সক্ষম হব।









