ভারতের বুকে ইসলাম টিকিয়ে রাখতে ও ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা ঐতিহাসিক দারুল উলুম দেওবন্দ ও জামিয়া মিল্লিয়া সহ ৪টি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় গোলা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন উগ্র হিন্দুত্ববাদী ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব ও দশনা দেবী মন্দিরের প্রধান যতী নরসিংহানন্দ গিরি।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) মুসলিম মিররের এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্যের জন্য কুখ্যাত গাজিয়াবাদের দশনা দেবী মন্দিরের বিতর্কিত মহন্ত (মন্দির প্রধান), যতী নরসিংহানন্দ গিরি ভারতের ৪টি ঐতিহাসিক ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করতে সরকারকে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন।
সাম্প্রতিক দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি ঐতিহাসিক ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দ, জামিয়া মিল্লিয়া, আল ফালাহ ও আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে সন্ত্রাসীদের আস্তানা বলে দাবি করেন এবং কামান দাগিয়ে তা ধ্বংস করতে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানান।
ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও ক্লিপে তাকে বলতে দেখা যায়, তিনি বলছিলেন, “আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়, এএমইউ, জামিয়া মিল্লিয়া ও দারুল উলুম দেওবন্দের মতো সন্ত্রাসীদের আস্তানাগুলোকে সেনাবাহিনী পাঠিয়ে কামান দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া উচিত।”
তিনি আরো বলেন, “এটা আমার জীবনের শেষ পর্যায়। তোমরা তোমাদের নেতাদের চাপ দাও, যেনো তারা কামান দিয়ে এই প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে। অন্যথায় বিলুপ্তির ঝুঁকি নাও, কেননা আর পালানোর পথ থাকবে না।”
সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, মুসলিম বিদ্বেষী এই ধর্মগুরু ও মন্দির প্রধানের বক্তব্য এমন সময়ে আসলো, যখন গত ১০ নভেম্বর দিল্লির লাল কেল্লায় বিস্ফোরণে ১৩ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় মুসলিমদের প্রকাশ্যে হত্যা ও তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসের হুমকি উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেনামি নয়, বরং ভেরিফায়েড ও প্রসিদ্ধ ব্যক্তিত্বদের সোশ্যাল আইডি থেকে হত্যাযজ্ঞ পরিচালনা ও সন্ত্রাসবাদী হামলার বক্তব্য আসছে। অথচ বিস্ফোরণে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ৩ জন ডাক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা এখনো নিছক সন্দেহ।
সূত্র: মুসলিম মিরর









