মঙ্গলবার | ১৮ নভেম্বর | ২০২৫

হাসিনার ফাঁসির আদেশ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও দ্বিতীয় অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুন্যাল-১-এর বিচারক বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্যরা হলেন, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

৬ ভাগে বিভক্ত ৪৫৩ পৃষ্ঠা রায়ের সার সংক্ষিপ্ত অংশ পড়েছেন বিচারক। দুপুর ১২টা ৩৪ মিনিটে রায় পড়া শুরু হয়। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে রায়ের সার সংক্ষিপ্ত অংশ পড়েন বিচারক।

গণহত্যার দায়ে সরকারের সর্বোচ্চ পদধারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশের ইতিহাসে এটিই প্রথম বিচারের রায়। হাসিনার মামলার রায় বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বেসরকারি টেলিভিশনগুলোতে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। এছাড়া রাজধানীর মোড়ে মোড়ে বড় পর্দায় বিচার কার্যক্রম দেখানো হয়।

হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পালিয়ে বর্তমানে ভারতের আশ্রয় রয়েছেন। মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া একমাত্র আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন রাজসাক্ষী হয়েছেন। তিনি অ্যাপ্রুভার (রাজসাক্ষী নামে পরিচিত) হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন এবং নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বীকার করেছেন।

spot_img

সর্বশেষ

spot_img

এই বিভাগের

spot_img