ইসলামের পক্ষে দেশে গণজোয়ার তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, আলেমদেরকে আর ক্ষমতার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, অতীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তি উলামায়ে কেরামের সরলতা ও জনমান্যতাকে ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে, এখন সেই পুরোনো ধারার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে আলেম সমাজকে নিজেই সজাগ থাকতে হবে।
ঢাকায় প্রথমবারের মতো দেশের বিভিন্ন মসজিদের ইমাম–খতীবদের নিয়ে বৃহৎ পরিসরে অনুষ্ঠিত ‘ইমাম–খতীব জাতীয় সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মিলিত ইমাম–খতীব পরিষদের আয়োজনে রোববার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ২টায় রাজধানীর আগারগাঁওস্থ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত ইমাম–খতীব পরিষদের আহ্বায়ক মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ বাকী। সম্মেলন পরিচালনা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব মুফতী আজহারুল ইসলাম ও যুগ্ম সদস্য সচিব মুফতী শরিফুল্লাহ।
চরমোনাই পীর বলেন, “অতীতে উলামায়ে কেরামকে নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে, খুন, গুম, মামলা, মোকদ্দমার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। সেই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া যাবে না।”
বর্তমান প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, “বর্তমানে ইসলামের পক্ষে গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। আমরা ইসলামের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকলে আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ।”
ইমাম–খতীবদের উত্থাপিত দাবির প্রসঙ্গে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, “আল্লাহ যদি সুযোগ দেন, তাহলে আপনাদের খাদেম হিসেবে আপনাদের দাবি–দাওয়া পূরণ করা হবে ইনশাআল্লাহ।”
সম্মেলনে বক্তারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অধিকার সংরক্ষণ, ইমাম–খতীবদের সামাজিক নিরাপত্তা ও সম্মানজনক ভাতা এবং মসজিদ পরিচালনার আধুনিক নীতিমালা প্রণয়নসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ উপস্থাপন করেন।
সম্মেলনে (ভার্চুয়ালি) বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম প্রমুখ।









