কৃষ্ণ সাগরে তুর্কি সমুদ্র সীমায় রাশিয়ার তেলবাহী জাহাজে ইউক্রেনের ড্রোন হামলার নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক।
রবিবার (৩০ নভেম্বর) তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মুখপাত্র ওনজু কেচেলি বলেন, ‘কাইরোস’ এবং ‘বিরাট’ জাহাজের উপর হামলা তুরস্কের একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের অভ্যন্তরে ঘটেছে, যা এই অঞ্চলে নৌ চলাচল, জীবন, সম্পত্তি এবং পরিবেশগত সুরক্ষার জন্য গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করেছে। আমরা এর নিন্দা জানাই।
কৃষ্ণ সাগরে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়া রোধে আঙ্কারার পদক্ষেপ সম্পর্কে তিনি বলেন, কৃষ্ণ সাগর জুড়ে ইউক্রেন যুদ্ধের বিস্তার রোধে এবং তুরস্কের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষার জন্য আঙ্কারা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে ইউক্রেন এই হামলা প্রসঙ্গে জানায়, শুক্রবার বিকেলে তারা তুরস্কের কৃষ্ণ সাগর উপকূলে রাশিয়ার তেলবাহী ২টি ট্যাংকার জাহাজে হামলা চালিয়েছে। দ্রুত আঘাতের লক্ষ্যে তারা নৌ-ড্রোন ব্যবহার করেছে। তবে উভয় জাহাজের ক্রু সদস্যরা নিরাপদ বলে জানা গেছে।
নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর সাথে জড়িত ব্যক্তি বা সংস্থাগুলোকে পর্যবেক্ষণ করা ‘ওপেন স্যাংকশনস ডাটাবেস’ জানায়, জাহাজগুলোকে রাশিয়ার কৌশলগত জাহাজ বহরের অংশ বলে বর্ণনা করে, যা ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণ পরবর্তী সময়ের নিষেধাজ্ঞা এড়াতে ব্যবহার করে আসছে দেশটি।
সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, ইউক্রেন এখন পর্যন্ত রাশিয়ার বেশ কয়েকটি জাহাজের বিরুদ্ধে সফল নৌ হামলা চালিয়েছে। বিশেষত, বিস্ফোরক ও পণ্য ভর্তি জাহাজগুলোকে সামুদ্রিক ড্রোন ব্যবহার করে অনেক ক্ষতি করেছে। তবে এতদিন যাবত ইউক্রেনের এসব হামলা ও মিশন মূলত উত্তর কৃষ্ণ সাগরের জলসীমার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলো।
সূত্র: আরব নিউজ









