সম্প্রতি ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক গুলি করে বাংলাদেশের দুই সাধারণ নাগরিককে হত্যার ঘটনায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা প্রকাশ করছে।
এনসিপি বলছে, বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রতি ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর এ জাতীয় অপরাধ আন্তর্জাতিক আইন, মানবাধিকার নীতি বা কূটনৈতিক সম্পর্কের পরিপন্থি এবং সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য।
এনসিপি মনে করে, এই ঘটনার পাশাপাশি অতীতের সব সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও স্বাধীন তদন্ত প্রয়োজন। বাংলাদেশ সরকারের উচিত হবে নিহতদের পরিবারকে আইনি সহায়তা দেওয়া এবং ভারত সরকারের কাছ থেকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দাবি করা। ভারতীয় বাহিনী কর্তৃক সীমান্তে চলমান দীর্ঘদিনের অপরাধমূলক আচরণ বন্ধে ভারত সরকারকে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে এ ধরনের অন্যায় ও অমানবিক কর্মকাণ্ড যাতে আর কেউ করতে না পারে, সে জন্য আমরা বৈশ্বিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর আন্তরিক দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ফেলানি হত্যাকাণ্ডসহ অতীতের সীমান্ত হত্যাগুলোর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা গেলে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা সম্ভব হতো। তাই বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান, দ্রুত সব সীমান্ত হত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে আন্তর্জাতিক মহলের সামনে সেগুলো উপস্থাপন করা হোক।
উল্লেখ্য যে গত রোববার (৩০ নভেম্বর) মধ্যরাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক দুই বাংলাদেশি যুবক ইব্রাহিম রিংকু (২৮) ও মমিন মিয়া (২৯) কে নির্মমভাবে হত্যা করে হাত-পা বেঁধে পদ্মা নদীতে নিক্ষেপ করা হয়।









