ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের মুখপাত্র মাওলানা জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, আমরা ধর্মের বিরুদ্ধে গিয়ে দুনিয়াবি কোনো বিষয়ের কথা বলি না। আমরা দুনিয়ার কল্যাণের জন্য ধর্ম চাই। আমরা চাই যাতে আরও মাদ্রাসা গড়ে ওঠে, একটি নয় বরং একশোটি। আমরা চাই এই ব্যবস্থা শক্তিশালী হোক এবং অস্ত্রসজ্জিত থাকুক, যাতে কোনো শত্রু আমাদের দিকে তেড়েবেঁকে তাকাতে সাহস না করে।”
পাকতিয়া প্রদেশের জুরমাত জেলায় মাদ্রাসাগুলোর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আধুনিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে মাওলানা জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, শুধু বন্দুক ও রকেট দিয়ে আর দেশের প্রতিরক্ষা সম্ভব নয়; এখন সময়ের দাবি আধুনিক সরঞ্জাম ও উন্নত প্রযুক্তি।
তিনি বলেন, আধুনিক শিক্ষার প্রতি সমর্থন থাকা সত্ত্বেও বর্তমানে আফগানিস্তানে প্রায় ২৬ হাজার ধর্মীয় মাদ্রাসা সরকারিভাবে সক্রিয় রয়েছে এবং প্রায় ৩৬ হাজার শিক্ষার্থী জিহাদি মাদ্রাসায় অধ্যয়ন করছে।
তিনি আরও বলেন, ইমারাতে ইসলামিয়া ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, নিরাপত্তা বজায় রাখা, জনসম্পদের সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং জনগণের সমস্যা সমাধানে অঙ্গীকারবদ্ধ।
মাওলানা মুজাহিদ বলেন, “একটি ব্যবস্থার কিছু মূল বিষয় আছে: প্রথমত ন্যায়বিচার; দ্বিতীয়ত জনসম্পদের সঠিক ব্যবস্থাপনা; তৃতীয়ত জনগণের নিরাপত্তা বজায় রাখা; এবং চতুর্থত উন্নয়ন ও সাধারণ মানুষের জন্য সুবিধা সৃষ্টি।”
অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আফগানিস্তান উল্লেখযোগ্য উন্নতি অর্জন করেছে এবং এখন দেশের বার্ষিক রপ্তানি ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান প্রায় দুই মাস ধরে সব বাণিজ্য রুট বন্ধ করে রাখলেও আফগান বাজারে প্রয়োজনীয় সব পণ্য এখনও স্বাভাবিকভাবে পাওয়া যাচ্ছে।
ইমারাতে ইসলামিয়ার মুখপাত্র বলেন, “আফগানিস্তানের অর্থনীতি উন্নত হয়েছে, আমাদের মুদ্রা স্থিতিশীল রয়েছে। বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, আফগানি এখন বিশ্বের চতুর্থ সর্বাধিক স্থিতিশীল মুদ্রা। এটি আমাদের জন্য বড় সাফল্য।”
তিনি আরও বলেন, গত নয় মাসে দেশে কোনো বড় ধরনের নিরাপত্তা ঘটনা ঘটেনি।
সূত্র: আরিয়ানা নিউজ









