ভারতের উত্তর প্রদেশে সামাজিক মাধ্যমে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি সম্পাদিত ভিডিও শেয়ার করায় একজন নারী আয়ুর্বেদিক চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রশাসনের দাবি, ভিডিও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত করতে পারে।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তাঁকে পুলিশ গেপ্তার করে।
আটক হওয়া চিকিৎসক ড. শিবা খান বিএএমএস–ডিগ্রিধারী। তিনি মীরাট জেলার মাওয়ানা থানার আওতাধীন আবদুল্লাপুর গ্রামে একটি ক্লিনিক পরিচালনা করেন।
পুলিশ জানায়, ৬ ডিসেম্বর সামাজিক মাধ্যম পর্যবেক্ষণ জোরদার করার সময় ভিডিওটি নজরে আসে, (১৯৯২ সালের এই দিনে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা অযোধ্যায় ১৬শ শতকের বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে ফেলে)। হিন্দু সংগঠনগুলো দিনটিকে শৌর্য দিবস হিসেবে পালন করে, আর মুসলিম সংগঠনগুলো পালন করে ইয়াওমে গম বা ব্ল্যাক ডে। এই সংবেদনশীল প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ভিডিওটিকে বিশেষভাবে উদ্বেগজনক বলে পুলিশ উল্লেখ করেছে।
মাওয়ানা থানার ওসি পুনম জাদোন বলেন, ভিডিওটিতে বাবরি মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত সম্পাদিত অডিও ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট ছিল এবং পুলিশ এটিকে শান্তিভঙ্গের উদ্দেশ্যে উসকানিমূলক প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছে।
ড. শিবার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস) ২০২৩–এর ১৯৬ ধারা—যা ধর্মের ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টির অভিযোগে প্রযোজ্য এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৭ ধারায় ইলেকট্রনিক মাধ্যমে অশ্লীল কনটেন্ট প্রকাশ বা প্রচার মামলা করা হয়েছে।
শান্তিভঙ্গের আশঙ্কায় প্রতিরোধমূলক ধারা অনুযায়ী তাঁকে উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট সন্তোষ কুমার সিংয়ের সামনে হাজির করা হয়। পরে ব্যক্তিগত বন্ডে সেদিনই তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এদিকে ভিডিওটির প্রযুক্তিগত পরীক্ষা চলছে। ফরেনসিক রিপোর্ট আসার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সূত্র: মুসলিম মিরর









