আওয়ামী শাসনামলে ডিজিএফআইয়ের জয়েন্ট ইন্টারোগেশন (জেআইসি) সেলে ২৬ জনকে গুম ও নির্যাতনের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ১১ সেনা কর্মকর্তার বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেন। এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়। গত ৭ ডিসেম্বর বিচার শুরুর আবেদন জানিয়ে শুনানি শেষ করে প্রসিকিউশন।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, জেআইসি সেলে শতশত মানুষকে বন্দি করে নির্যাতন করা হয়েছে। আব্দুল্লাহ হিল আমান আজমী, মাইকেল চাকমাসহ ২৬ জন নির্যাতনের পর মুক্তি পান। সকল গুমের নির্দেশনা দিতেন শেখ হাসিনা, তা সেনা কর্মকর্তাদের দিয়ে বাস্তবায়ন করতেন তারিক আহমেদ সিদ্দিক।
পরে শেখ হাসিনাসহ বাকি আসামিদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চান তাদের আইনজীবীরা। এ মামলায় শেখ হাসিনা, তারিক সিদ্দিক ছাড়াও ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ মহাপরিচালক, পাঁচ পরিচালক ও একজন সাবেক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আসামি। এর মধ্যে তিনজন গ্রেফতার রয়েছেন। তারা হলেন- ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী।
শেখ হাসিনাসহ পলাতক অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, হাসিনার প্রতিরক্ষা বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) লে. জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আকবর হোসেন, সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল (অব.) সাইফুল আবেদিন, লে. জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, সাবেক ডিজি লে. জেনারেল তাবরেজ শামস চৌধুরী, সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক, মেজর জেনারেল তৌহিদুল ইসলাম, মেজর জেনারেল কবির আহাম্মদ ও লে. কর্নেল (অব.) মখসুরুল হক।










