রবিবার | ২১ ডিসেম্বর | ২০২৫
spot_img

দেড় বছর আগে ভারতে পালিয়ে যাওয়া হাসিনা-কাদেরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে প্রায় দেড় বছর আগে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

দুদক-এর পক্ষে আবেদনটি করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক তানজিল হাসান।

অন্যান্য যাদের দেশত্যাগে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, আনিসুল হক, তোফায়েল আহমেদ, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, সচিব এম এ এন ছিদ্দিক, অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক জলিল, উপ-সচিব মোহাম্মদ শফিকুল করিম, প্রকৌশলী মো. ফিরোজ ইকবাল, ইবনে আলম হাসান, মো. আফতাব হোসেন খান, মো. আব্দুস সালাম এবং সিএনএস লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনীর উজ জামান চৌধুরী, পরিচালক সেলিনা চৌধুরী ও ইকরাম ইকবাল।

মামলার এজহার ও আবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম লিমিটেড (সিএনএস)-কে একক উৎস ভিত্তিক দরপত্রের মাধ্যমে টোল আদায়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

পূর্বের বৈধ টেন্ডার বাতিল করে, অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই এই চুক্তি সম্পাদন করা হয়। সিএনএস লিমিটেডকে টাকার অংকে নয়, বরং মোট আদায়কৃত টোলের ১৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জে (ভ্যাট ও আইটি ব্যতীত) কার্যাদেশ দেওয়া হয়।

এর ফলে প্রতিষ্ঠানটি ৪৮৯ কোটি টাকার বেশি বিল গ্রহণ করে। অথচ ২০১০-২০১৫ মেয়াদে একই সেতুতে যৌথভাবে এমবিইএল-এটিটি কোম্পানিকে টোল আদায়ের দায়িত্ব দিতে খরচ হয়েছিল মাত্র ১৫ কোটি টাকার কিছু বেশি।

এ ঘটনায় গত ১২ অক্টোবর দুদক শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

মামলার এজাহার নামীয় আসামিরা দেশত্যাগ করতে পারেন মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। এতে মামলার তদন্ত কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হওয়াসহ গুরুত্বপূর্ণ আলামত বিনষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তাই এই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে, তাদেরকে বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।

spot_img
spot_img
spot_img

এই বিভাগের

spot_img