জামায়াতে ইসলামী ভেঙে গঠন করা আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দিয়েছেন ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক।
রোববার দলের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে এই বিষয়টি জানানো হয়।
জামায়তের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ছিলেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক। তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত জামায়াত নেতাদের পক্ষে উচ্চ আদালতে আইনি লড়াই করেন। তবে মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতের ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাওয়া ও দল বিলুপ্তির পরামর্শ দিয়ে দলের বিরাগভাজন হন। এ নিয়ে বিরোধ তৈরি হলে ২০২০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জামায়াত থেকে পদত্যাগ করে দেশের বাইরে যুক্তরাজ্যে চলে যান আব্দুর রাজ্জাক। এখনও তিনি দেশে ফেরেননি।
২০১৯ সালের ২ মে এবি পার্টি গঠন হলে সে সময়ই ব্যারিস্টার রাজ্জাকের এই দলে যোগ দেয়ার গুঞ্জন ওঠে। যদিও তিনি ওই সময় এবি’তে যোগ দেননি।
এবি পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনে অনলাইনে যুক্ত হয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের যে প্রতিশ্রুতি স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে দেয়া হয়েছে, জনগণের জন্য তা নিশ্চিত করার অঙ্গীকারের মাধ্যমে এবি পার্টির যাত্রা শুরু। বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্ম ইসলামে এই তিনটি অধিকারের সম্পূর্ণ নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে।’
এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী ও সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মন্জুসহ কেন্দ্রীয় নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এই আয়োজনে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এস এম কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নিলুফার চৌধুরী মনি, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপিপন্থি বুদ্ধিজীবী দিলারা চৌধুরী, জাতীয় পার্টির সাবেক উপমন্ত্রী সরোয়ার মিলন, বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু ও শিক্ষাবিদ ড. সুকোমল বড়ুয়া প্রমূখ।
এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল ওহাব মিনার, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাজুল ইসলাম, যুগ্ম সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, যুবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া, বিএম নাজমুল হক, সহকারী সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা প্রমূখ।