চলতি বছরের ১৪ মে ফিলিস্তিনে ৪ জন মুসলিমকে গুলি করে হত্যা করে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল। এ হত্যাকাণ্ডে ইসরাইলি সেনাদের সাথে অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইহুদিবাদীরাও জড়িত।
সম্প্রতি দৈনিক ইন্টারসেপ্টের অনুসন্ধানে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে।
অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের তথ্যমতে, ইসরাইলি সেনা ও অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইহুদিবাদীদের যৌথ আক্রমণে ৪ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছিল।
নিহতদের মধ্যে একজন হলেন দক্ষিণ নাবলাসের উরিফ গ্রামের ৩০ বছর বয়সী যুবক নিদাল সুফাইদি। বুকে এবং পেটে সব মিলিয়ে তাকে চার বার গুলি করে ইসরাইলের সামরিক ও বেসামরিক সন্ত্রাসীরা। মারাত্মকভাবে জখমি হয়ে পরবর্তীতে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন।
উরিফ গ্রাম পরিষদের প্রধান মাজান শাহাদার বর্ণনায় ইন্টারসেপ্টের প্রতিবেদনটিতে উঠে আসে যে, ইসরাইলের সন্ত্রাসী সেনাদের ছত্রছায়ায় কীভাবে সশস্ত্র অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইহুদিবাদীরা উরিফের স্কুলগুলোতে ও বেসামরিক নিরীহ জনগণের উপর আক্রমণ ও গুলি চালিয়ে থাকে।
তাঁর বর্ণনা মতে, ইহুদিবাদীরা তাদের গ্রামের প্রায় ৬০টি করে ত্বীন ও যাইতুন গাছ ধ্বংস করে দিয়েছে। এমনকি গ্রামের কৃষি জমিতেও আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলো। অবস্থা এতো ভয়াবহ ছিলো যে ফসলি জমি রক্ষায় মসজিদের মিনার থেকে আগুন নেভাতে আসার জন্য পুরো গ্রামবাসীকে আহবান করতে হয়েছিলো!
তারা এতটুকুতেই থেমে ছিলো না। গ্রামের স্কুলেও আক্রমণ করে বসে ওই ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীরা। পাথর নিক্ষেপ করে স্কুলে ভাংচুর চালায়। তার সোলার প্যানেলগুলো ভেঙ্গে ফেলে। এসময় ইসরাইলের সেনারা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তা দেখছিলো।
৪টি হত্যাকাণ্ডের অপর ৩টি নাবলাসের আরেকটি গ্রাম আ’সিরা আল ক্বিবলায়্যাহ, পশ্চিমতীরের ইসকাকা ও হেবরনের আল রিহিয়্যাহতে সংঘটিত হয়। সেখানেও একই পদ্ধতিতে ইসরাইলের সেনা ও অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইহুদিবাদীরা যৌথ হামলা চালায়।
প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনের দখলকৃত পশ্চিমতীর উগ্র ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের বিশেষ অভয়ারণ্য। সেখানে প্রায় ৭ লক্ষ ইহুদিবাদীদের বসবাস। ইসরাইল পশ্চিমতীরে অবৈধ বসতি নির্মাণ করে দিয়ে তাদের সন্ত্রাসী সেনাদের ছত্রছায়ায় ওই ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের দেখভাল করে যাচ্ছে।
সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর।