মার্কিন সেনাদের পরিপূর্ণভাবে আফগান ছেড়ে যাওয়াকে ঐতিহাসিক মুহুর্ত ও আফগান জনগণের স্মরণীয় বিজয় বলে আখ্যায়িত করেছে ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) সদ্য মার্কিনীদের কব্জা থেকে আফগানিস্তানের পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জন করাকে কেন্দ্র করে একটি বিবৃতি দেয় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী দলটি।
বিবৃতিতে হামাস মুখপাত্র সামি আবু জুহরী বলেন, পরিপূর্ণভাবে মার্কিন সেনাদের আফগান ত্যাগ করা একটি ঐতিহাসিক মুহুর্ত এবং আফগান জনগণের স্মরণীয় বিজয়। মার্কিনীদের সেনা প্রত্যাহার বিশ্বকে এই বার্তা দেয় যে আফগানী মূল্যবোধ যে কোনো দখলদারিত্বের চেয়ে বেশি শক্তিশালী।
তাছাড়া আমেরিকার পিছু হটাকে তিনি ওই অঞ্চলের জন্য টার্নিং পয়েন্ট বলে উল্লেখ করেন।
প্রসঙ্গত ইউএস মিলিটারি ফ্লাইটে সর্বশেষ মার্কিন সেনাদের কাবুল ছেড়ে যাওয়ার পর কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে তুলে নেয় তালেবান। এসময় সাম্রাজ্যের বধ্যভূমি খ্যাত দেশটির একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম সমৃদ্ধ স্পেশাল ইউনিট ‘বদরী ৩১৩’ এর সেনা সদস্যদের মোতায়েন করে তারা।
জানা যায়, সেনা প্রত্যাহারে গড়িমসি করতে থাকা আমেরিকা, ন্যাটো ও তাদের মিত্রদেরকে আফগানিস্তান থেকে পরিপূর্ণভাবে সেনা প্রত্যাহারের জন্য ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলো তালেবান।
গত ১৫ আগস্ট অবিশ্বাস্য দ্রুততায় রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয় যুগের পর যুগ লড়াই চালিয়ে যাওয়া তালেবানরা। কাবুল আয়ত্তের মাধ্যমে পুরো আফগানিস্তান নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিলে চাপে পড়ে তড়িঘড়ি করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয় আমেরিকাসহ অন্যান্য বিদেশী শক্তিগুলো।
আর গত সোমবার (৩০ আগস্ট) রাত ১২ টায় সর্বশেষ মার্কিন সেনাদের বিদায়ের মাধ্যমে পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জন করে আফগানিস্তান।
অপরদিকে ওয়াশিংটন বলছে এটি ছিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘতম যুদ্ধ। এটির পরিসমাপ্তি ঘটাতে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলো।
জানা যায়, মাত্র ১০ দিনে অবিশ্বাস্য দ্রুততায় পুরো আফগানিস্তানে তালেবান নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় মার্কিনীরা তাদের সেনা প্রত্যাহারের সর্বাত্মক চেষ্টাটায় চালিয়েছে। ওয়াশিংটনের তথ্যমতে তাদের বিমানবাহিনী মাত্র ১৫ দিনে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার জনকে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে এনেছে!
সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর