আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে সংঘটিত ভয়াবহ ভূমিকম্পে শত শত মানুষ শাহাদাতবরণ করেছেন এবং কয়েক হাজার আহত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত সহায়তা ও পুনর্বাসনের জন্য জরুরি পদক্ষেপ নিয়েছে ইমারাতে ইসলামিয়া।
আজ সোমবার কাবুলে সরকারের তথ্য ও গণমাধ্যম কেন্দ্রে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইমারাতে ইসলামিয়ার মুখপাত্র ও ডেপুটি তথ্যমন্ত্রী মাওলানা জবীহুল্লাহ মুজাহিদ এসব তথ্য তুলে ধরেন এবং দেশবাসীকে একযোগে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে মাওলানা জবীহুল্লাহ মুজাহিদ ভূমিকম্পে আফগান জনগণের শাহাদাত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে সরকারের গভীর সমবেদনা বার্তা পাঠ করে শোনান।
তিনি বলেন, “আমরা শহীদদের জান্নাতুল ফেরদৌস, আহতদের দ্রুত আরোগ্য এবং তাদের পরিবার-পরিজনের জন্য সুন্দর ধৈর্য প্রার্থনা করি। একই সঙ্গে ইমারাতে ইসলামিয়ার সব সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বিদ্যমান সুযোগ–সুবিধা কাজে লাগিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের সাহায্যে দ্রুত এগিয়ে আসতে।”
মাওলানা মুজাহিদ জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে গ্রামীণ পুনর্গঠন ও উন্নয়ন মন্ত্রী মোল্লা মুহাম্মদ ইউনুস আখুন্দজাদার নেতৃত্বে এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর দায়িত্বশীলদের নিয়ে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় তাৎক্ষণিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জরুরি সহায়তার জন্য ১০ কোটি আফগানি বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও অর্থ প্রদান করা হবে।”
প্রাথমিক তথ্য তুলে ধরে মাওলানা মুজাহিদ বলেন, “কুনার প্রদেশে ৮০০ জন শহীদ হয়েছেন এবং ২ হাজার ৫০০ জন আহত। নানগরহার প্রদেশে ১২ জন শহীদ ও ২৫৫ জন আহত হয়েছেন। লাগমান প্রদেশে ৫৮ জন আহত এবং নুরিস্তান প্রদেশেও ৪ জন আহত হয়েছেন।”
তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র, জাতীয় প্রতিরক্ষা ও গণস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ স্থানীয় গভর্নরবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো ইতোমধ্যে শহীদদের মরদেহ উদ্ধারে, আহতদের স্থানান্তরে, খাদ্য ও চিকিৎসাসামগ্রী সরবরাহে জরুরি পদক্ষেপ নিয়েছে।
মাওলানা মুজাহিদ বিশেষভাবে দাতব্য সংস্থা, ব্যবসায়ী ও সাধারণ আফগানদের উদ্দেশে আহ্বান জানান,
“এই কঠিন পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের পাশে দাঁড়ান। আপনারা তাদের সহায়তা করুন।”
সংবাদ সম্মেলনের শেষে তিনি জোর দিয়ে বলেন, “সহায়তা কার্যক্রমকে সুষ্ঠুভাবে সমন্বয় করার জন্য সব ধরনের সাহায্য নির্ধারিত কমিটির মাধ্যমে সংগঠিত হতে হবে। দাতব্য প্রতিষ্ঠান ও জনগণকেও নিজেদের সহায়তা ওই কমিটির মাধ্যমে প্রদান করতে হবে।”