ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে সরকারি প্লট বরাদ্দ নেয়ার দায়ে সাবেক ক্ষমত্যাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। একইসাথে তার বোন শেখ রেহানাকে ৭ বছরের কারাদণ্ডসহ এক লাখ টাকা জরিমানা ও রেহানার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিককেও ২ বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই মামলার বাকি আসামি সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরিফ আহমেদসহ ১৪ জনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক মো. রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে আদালত বলেন, শেখ হাসিনাকে প্রভাবিত করে শেখ রেহানার প্লট নেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। শেখ হাসিনা রাজউকের আবাসন নীতিমালার সবগুলো নীতি ভঙ্গ করেছেন। এসময় বিচারক আরও বলেন, আসামিরা সবাই পাবলিক সারভেন্ট। কিন্তু তাদের আইন ভঙ্গ করা ক্রিমিনাল মিসকনডাক্টের অন্তর্ভুক্ত। সুরা আল মায়েদার একটি আয়াত উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের সকলকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মাধ্যমে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেয়ার অভিযোগে গত ১৩ জানুয়ারি দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন মামলা দায়ের করেন। মামলায় শেখ রেহানা, টিউলিপ সিদ্দিক, রিজওয়ানা সিদ্দিক ও শেখ হাসিনাসহ মোট ১৫ জনকে আসামি করা হয়। পরে তদন্ত শেষে ১০ মার্চ আরও দুইজনকে যুক্ত করে মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব অলিউল্লাহ, সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (অব.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, সাবেক পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, উপপরিচালক নায়েব আলী শরীফ এবং পরে যুক্ত হওয়া দুই আসামি-সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
এর মধ্যে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন খুরশীদ আলম। বাকি আসামিরা এখনও পলাতক অবস্থায় আছেন।









