বুধবার, মার্চ ১২, ২০২৫

শহীদ সামিউল হক হক্কানী রহ. এর ছেলের শাহাদাতের ঘটনায় ইমারাত সরকারের নিন্দা ও শোক

বাবায়ে তালেবান খ্যাত শহীদ শায়েখ সামিউল হক হক্কানী রহ. এর ছেলে শায়েখ হামিদুল হক হক্কানীর শাহাদাতের ঘটনায় নিন্দা ও শোক প্রকাশ করেছে আফগান ইমারাতে ইসলামিয়ার সরকার।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে এবিষয়ে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, অত্যন্ত দু:খের সাথে জানাচ্ছি যে, পেশোয়ারে জঘন্য বোমা হামলায় দারুল উলুম হক্কানীয়ার নায়েবে মুহতামিম শায়েখ হামিদুল হক হক্কানীর শাহাদাতের খবর আমাদের কাছে পৌঁছেছে। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান শায়েখ হামিদুল হক হক্কানীকে লক্ষ্য করে পরিচালিত এই নৃশংস বোমা হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। তার শাহাদাত শিক্ষাঙ্গন ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বিরাট শূন্যতা তৈরি করেছে। ইমারাতে ইসলামিয়ার সরকার তার সম্ভ্রান্ত ও পাণ্ডিত্যপূর্ণ পরিবারের প্রতি, তার ছাত্র ও সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে।

মহান আল্লাহর কাছে আমরা তার জন্য জান্নাতুল ফিরদাউস কামনা করছি। তার শোকসন্তপ্ত পরিবার ও বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ছাত্রদের অপরিসীম ধৈর্য ধারণের তাওফিক ও প্রতিদান কামনা করছি।

আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করছি, যারা এই অঞ্চলের ওলামাদের পরিকল্পিত ভাবে হামলার লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিশোধ নেন এবং এধরণের নিন্দনীয় নৃশংস হামলা থেকে ওলামাদের রক্ষা করেন।

সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বাদ জুমা শায়েখ হামিদুল হক হক্কানীকে লক্ষ্য করে আত্মঘাতি বোমা হামলা চালায় উগ্র খারেজী সন্ত্রাসীরা। এতে তিনি সহ ৫ জন শাহাদাত বরণ করেন এবং ১৮ জন আহত হোন।

জুম’আ শেষে যে রাস্তা দিয়ে তিনি ঘরে ফিরেন, সে রাস্তাতেই এ হামলা চালানো হয় বলে জানা যায়।

খায়বার পাখতুনখোয়া প্রদেশের পুলিশের আইজি যুলফিকার হামিদ জানান, মাওলানা হামিদুল হককে লক্ষ্য করেই এ হামলা চালানো হয়েছে। হামলার সময় জামে মসজিদটিতে নিরাপত্তার দায়িত্বে ২৫ পুলিশ সদস্য নিয়োজিত ছিল। শুধু মাওলানা হামিদুল হকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিলেন ৬ পুলিশ সদস্য।

তিনি আরও বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এলাকায় জরুরি তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে।

মাওলানা হামিদুল হক হক্কানী দারুল উলুম হক্কানিয়ার সাবেক মুহতামীম শহীদ মাওলানা সামিউল হক হক্কানী র. এর পুত্র ছিলেন। বাবার শাহাদতবরণের পর তিনি জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম (এস) এর সভাপতি হয়েছিলেন। ১৯৬৮ সালের মে মাসে প্রদেশটির নওশেরা জেলার আকোড়া খাট্টায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। ২০০২ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ছিলেন জাতীয় সংসদের সদস্য।

সূত্র: আল ইমারাহ

spot_imgspot_img

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img
spot_img