ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের গজনীতে প্রায় ৪৩ হাজার মেয়ে শিক্ষার্থী শিক্ষাগ্রহণ করছে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) গজনীর প্রাদেশিক শিক্ষা অধিদপ্তর সংবাদমাধ্যমকে একথা জানায়।
ইমারাতে ইসলামিয়া সরকারের নেতৃত্বাধীন গজনীর প্রাদেশিক অধিদপ্তরের শিক্ষা পরিচালক মীর নাসির আহমদ হুসাইনী বলেন, মেয়েদের শিক্ষার জন্য গজনীতে বর্তমানে ২৫০টি স্কুল রয়েছে। এতে প্রায় ২০ হাজার মেয়ে শিক্ষার্থী তাদের ধর্মীয় ও অন্যান্য পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রদেশ জুড়ে ৯৫০ টি সম্প্রদায় ভিত্তিক শিক্ষা-কার্যক্রম চালু করা হয়েছে বলেও জানান তিনি, যেখানে ২৩ হাজার মেয়ে শিক্ষার্থী বর্তমানে পড়াশোনা করছে।
শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইমারাত সরকারের সম্প্রদায় ভিত্তিক শিক্ষা-কার্যক্রমের ফলে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও আফগান সংস্কৃতি বজায় রেখে মেয়ে ও নারীরা নিজ বাড়িতেই স্বাচ্ছন্দ্যে পড়াশোনা করতে পারছেন।
এছাড়া স্থানীয় জনগণের অর্থায়নে খাজা ওমারী জেলায় মেয়েদের জন্য একটি ইসলামিক স্কুলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়। নির্মিতব্য স্কুলটি চালু হলে এটি হবে জেলাটিতে মেয়েদের ৫তম ইসলামিক স্কুল, যা নির্মাণে স্থানীয় বাসিন্দারা আর্থিকভাবে সহায়তা করেছেন।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, স্কুলটি নির্মাণে আনুমানিক ২০ লাখ আফগানি খরচ হবে। এর নির্মাণ কাজ শেষ হলে ১২০ জন মেয়ে শিক্ষার্থী পড়াশোনার উপযুক্ত পরিবেশ পাবে।
খওয়াজা ওমরী জেলার শিক্ষা প্রধান মতিউল্লাহ ফারুকি বলেন, গার্লস ইসলামিক স্কুলটি নির্মাণের জন্য স্থানীয়রা ৭.৫ জারিব জমি দান করেছেন, শতাংশের হিসাবে যার পরিমাণ প্রায় ৩৭১ শতাংশ। ৬টি শ্রেণিকক্ষ, প্রশাসনিক কার্যালয়, স্টোর রুম, আধুনিক শৌচাগার ও খেলার মাঠ নিয়ে স্কুলটি গড়ে তোলা হবে। এতে একটি সুপেয় পানির কূপের ব্যবস্থাও থাকবে।
গজনীর বাসিন্দা আসাদুল্লাহ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আগে নারীদের শিক্ষার হার কম ছিলো। কারণ তাদের জন্য উপযুক্ত ও নির্দিষ্ট কোনো স্কুল ছিলো না। এখন এখানে নারীদের জন্য বিশেষায়িত স্কুল নির্মাণ হচ্ছে বলে আমরা সবাই খুশি।
আফগান সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত মাসে জানিয়েছে, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও আফগান সংস্কৃতি বজায় রেখে নারী শিক্ষা ও শিক্ষার নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে গত ৪ বছরে দেশ জুড়ে শুধুমাত্র মেয়ে ও নারীদের জন্য ১ হাজার ১০০ টি স্কুল ও মাদ্রাসার জন্য ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। যেখানে আফগান মেয়ে ও নারীরা তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সূত্র: তলো নিউজ