মঙ্গলবার | ১ জুলাই | ২০২৫

যে কারণে তুরস্কের নির্বাচনে এরবাকান পুত্রের সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ

spot_imgspot_img

আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাপ্রবাহের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক। তন্মধ্যে প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানকে এরবাকান পুত্রের সমর্থনও অন্যতম।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ইসলামী বিপ্লবের অন্যতম প্রাণপুরুষ ড.নাজমুদ্দীন এরবাকানের পুত্র হওয়ায় তুরস্কের রাজনীতিতে ফাতিহ এরবাকান ও তার সমর্থনের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে।

এরবাকান পুত্রের সমর্থন পাওয়ার অর্থ হলো, অনায়াসে তুরস্কের রক্ষণশীল মুসলিম সমাজের সমর্থন পাওয়া। দেশটির সাধারণ ও রক্ষণশীল মুসলিম সমাজের কাছে এরবাকান কতটা জনপ্রিয়, ১৯৯৯৬ সনের নির্বাচনই তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ।

খেলাফত পরবর্তী সেক্যুলার কামাল আতাতুর্কের আধুনিক তুরস্কে ইসলাম ধর্মের উপর সর্বাত্মক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলো দেশটিতে ইসলাম ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে গঠিত এরবাকানের রাজনৈতিক দল ওয়ালফেয়ার পার্টি বা রেফাহ পার্টি (আরপি)।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, আসন্ন নির্বাচনে কমপক্ষে ২ শতাংশ ভোট পেতে পারে এরবাকান পুত্রের দল নিউ ওয়ালফেয়ার পার্টি বা ইয়েনিদান রেফাহ পার্টি (ওয়াইআরপি)।

সংখ্যায় কম হলেও সম্ভাব্য এই ২ শতাংশ ভোটই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে দেশটির রাজনীতিতে। কেননা ফাতিহ এরবাকান ও তার দল আসন্ন নির্বাচনে এরদোগান ও তার নেতৃত্বাধীন জোট পিপলস এলায়েন্সকে সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এছাড়াও এরদোগানের সমর্থনে প্রেসিডেন্ট পদের প্রার্থীতা থেকে সরে দাঁড়ানোকে এরবাকান পুত্রের দূরদর্শী সিদ্ধান্ত বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কেননা এরদোগানের ভাষ্য অনুযায়ী এটিই হতে যাচ্ছে তার শেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।

তাই এরবাকান পুত্রের ২ শতাংশ ভোট ও এরদোগানকে তার সমর্থনের সিদ্ধান্তকে নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারক বলে মনে করা হচ্ছে।

বিশ্লেষকদের কেউ কেউ দূরদর্শী নীতি ও সফলতা ধরে রাখা সাপেক্ষে মনে করছেন ফাতিহ এরবাকানই হতে পারেন এরদোগান পরবর্তী তুরস্কের নতুন প্রেসিডেন্ট, রাজনৈতিক দৃশ্যপটে যার আগমন ঘটেছিলো ২০১১ সনে প্রভাবশালী ইসলামিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ইঞ্জিনিয়ার ড. নাজমুদ্দীন এরবাকানের ইন্তেকালের মধ্যদিয়ে।

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img