ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার শহীদ মীর কাসেম আলীকে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ফাঁসি দিয়েছিল উল্লেখ করে তাকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, সরকার তাঁর বিরুদ্ধে আনা কোনো অভিযোগই প্রমাণ করতে পারেনি। সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে তাঁকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করা হয়। ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টায় তাঁর ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াত আমীর বলেন, “জনাব মীর কাসেম আলী আজীবন বাংলাদেশকে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও ইসলামী জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। ইসলামী ব্যাংক-বীমা, বহু মসজিদ-মাদ্রাসা এবং নানাবিধ ইসলামী ও জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। বিশেষত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে স্বল্পমূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর উদ্যোগ ছিল যুগান্তকারী। বাংলাদেশের জনগণ কৃতজ্ঞচিত্তে তাঁর অবদান স্মরণ রাখবে।”
তিনি বলেন, ‘ইসলামী আন্দোলনের সাথে সংশ্লিষ্টতার কারণেই আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার তাঁর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করে এবং মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে। সরকার তাঁর বিরুদ্ধে আনা কোনো অভিযোগই প্রমাণ করতে পারেনি। যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছিল, তার সঙ্গে তাঁর কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না। সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে তাঁকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করা হয়। ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টায় তাঁর ফাঁসি কার্যকর করা হয়।”
জামায়াত আমীর বলেন, “দেশে তিনি যে জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমের সূচনা করেছিলেন তা ইনশাআল্লাহ দীর্ঘকাল অব্যাহত থাকবে। তিনি তাঁর কর্মের মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবেন। আমরা মহান আল্লাহর নিকট দোয়া করি, তিনি যেন জনাব মীর কাসেম আলীর শাহাদাত কবুল করেন এবং তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন।”
মীর কাসেম আলীর রেখে যাওয়া কাজগুলো সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য সংগঠনের সর্বস্তরের জনশক্তি ও দেশবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ডা. শফিকুর রহমান।











